২০২১ সালের নভেম্বর মাসে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। যদিও অভিনেত্রী এখনও রয়ে গিয়েছেন তাঁর অনুরাগীদের মনে। দিনকয়েক আগেই ছিল অভিনেত্রীর জন্মবার্ষিকী। আর সেই বিশেষ দিনে বোনুর জন্য বড় উদ্যোগ নিলেন ঐন্দ্রিলা।
অভিনয়ের পাশাপাশি একটি ইউটিউব চ্যানেল ছিল ঐন্দ্রিলার। যেখানে নানা ধরনের জিনিস নিয়ে বানাতেন ভ্লগ। যেখানে ঢুকলে এখনও দেখা যায় ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর করা নর্থ বেঙ্গলের জঙ্গল সাফারি সঙ্গে মা-বাবা-দিদিকে নিয়ে শেষ ট্যুর লোনাভলা। তবে অভিনেত্রীর কঠিন পরিশ্রম করে তৈরি চ্যানেলটিকে এভাবে থেমে যেতে দিতে একেবারেই রাজি নন দিদি ঐশ্বর্য।
আরও পড়ুন: ঠোঁট সার্জারি নিয়ে বিতর্কের পর হঠাৎ প্রকাশ্যে আয়েশা টাকিয়া, কতটা বদলেছেন তিনি!
ঐশ্বর্য জানালেন, ‘বোনের চ্যানেলে এখন নতুন কনটেন্ট দিতে আমার একটু ভয় লাগছে। তবে নতুন কিছু থাকছে। একটা মিউজিক ভিডিয়ো দেব। একটা শর্ট ফিল্ম বানানোর ইচ্ছে আছে। যেটার গল্প লিখেছে সবস্যচী। ও যদিও অভিনয় করছে না, ক্যামেরার পিছনে থাকছে।’
আরও পড়ুন: না বলে হাত ধরায় বিচ্ছেদ! জানা গেল ভরতের ফোন ধরা কেন বন্ধ করেন হেমা-কন্যা এষা
ঐশ্বর্য নিজেও আজকাল রিলস শেয়ার করেন সোশ্যালে। এমনকী, খুলেছেন ইউটিউব চ্যানেলও। পেশায় যদিও তিনি শল্য চিকিৎসক। তাই কাজের ব্যাস্ততা, লম্বা ডিউটি আওয়ার্স থাকেই। তা সত্ত্বেও আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় চেষ্টা করেন নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখতে। দিনকয়েক আগে লাল শর্ট ড্রেসে ধরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ক্যামেরাতে। এটাও কিন্তু ঐন্দ্রিলারই জামা।
আরও পড়ুন: ঠোঁট সার্জারি নিয়ে বিতর্কের পর হঠাৎ প্রকাশ্যে আয়েশা টাকিয়া, কতটা বদলেছেন তিনি!
৫ ফেব্রুয়ারি বোনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এখটি মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট এসেছিল ঐশ্বর্যর পক্ষ থেকে। ঐন্দ্রিলার তোলা একটি মিরর সেলফি শেয়ার করেছিলেন। আর ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বিউটিফুল। মেনি হ্যাপি রিটার্নস অফ দ্য ডে। দিদিভাই তোকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে’। ক্যাপশনে একটি লাল হার্টের ইমোজিও শেয়ার করেন।
২০১৫ সালে ১৭ বছরের জন্মদিনের দিনই ঐন্দ্রিলা জানতে পেরেছিলেন ক্যানসার আক্রাণ্ত হওয়ার কথা। তার আগে মা শিখা শর্মার শরীরে থাবা বসিয়েছিল সেই মারণ রোগ। প্রথমবার ক্যানসারকে হারান। অভিনয় জগতেও পা রাখেন। কাজ শুরু করেন জিয়ন কাঠি ধারাবাহিকে। সেই সূত্রেই আলাপ প্রেমিক সব্যসাচীর সঙ্গে। জিয়ন কাঠি-তে কাজ করতে করতেই দ্বিতীয়বার ফিরে আসে ক্যানসার ২০১৯ সাল নাদাগ। সেবার ক্যানসার আক্রান্ত শরীর নিয়ে শ্যুট করেন। অপারেশ টেবিলে বাদ গিয়েছিল আধখানা ফুসফুস। ফের জয় করে নেন তিনি। ২০২১ সালে পুরো সেরে ওঠেন।
দুর্বল শরীরকে সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে যখন কাজে ফেরার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ২০২২ সালে তৃতীয়বার ফিরে আসে মারণ রোগ, তেমনটাই ধারণা চিকিৎসকদের। ‘ইউয়িং সারকোমা’-র রোগী ছিলেন তিনি। যা বারবার ফিরেফিরে আসে। ব্রেন স্ট্রোকের পর কোমায় চলে যান। হাসপাতাল থেকে এবারে আর ফেরা হয়নি বাড়ি।