অভিনেতা-অভিনেত্রী হওয়া মানেই একাধিকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসা, না বাস্তবে নয়, পর্দায়। ঐশ্বর্য রাইও তার ব্যতিক্রম নন। কিন্তু তিনি যখন সত্যিই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিষেকের সঙ্গে তখন তিনি জানতেন তিনি কেমন সাজবেন বা সাজতে চান। এবং সেই সাজ সিনেমার সাজের থেকে কতটা আলাদা হবে সেটাও স্পষ্ট ছিল তাঁর কাছে।
সম্প্রতি ফ্যাশন ডিজাইনার নীতা লুল্লা জানালেন আজ থেকে প্রায় এক দশকের বেশি সময় আগে ঐশ্বর্যর সঙ্গে তাঁর বিয়ের পোশাক নিয়ে কী কী কথা হয়েছিল। কীভাবে নিজের বিয়ের সাজের মধ্যে অভিনেত্রী তাঁর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন সেই কথাও বলেন নীতা। একই সঙ্গে তিনি জানান অভিষেক ঘরণীর বিয়ের পোশাকের দাম মোটেও ৭৫ লাখ টাকা ছিল না। যদিও তাঁর আসল দাম এখন আর মনে নেই, কিন্তু গুজবে যে দাম শোনা যায় তার আশেপাশে ছিল না আসল পোশাকের দাম।
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নীতা লুল্লা জানান, তাঁর বিয়ের পোশাক নিয়ে যখন ঐশ্বর্য এই ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে কথা বলেন তখন তিনি পর্দার জন্য বউ সেজে বসেছিলেন। যোধা আকবর ছবির শুটিং চলছিল তখন। তাঁর কথায়, 'আমরা যখন ওঁর বিয়ের পোশাক নিয়ে কথা বলছি তখন ও যোধার বিয়ের পোশাক পরে বসে। আমার মনে আছে উনি আমায় বলেছিলেন আমি মোটেই আমার বিয়েতে এমন সাজতে চাই না। আমি কাঞ্জিভরম পরে বিয়ে করতে চাই। এবার সেটার জন্য তুমি কী করবে দেখ। আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলে দেখ তোমরা রেইকি করবে না কী করবে, কোথা থেকে শাড়ি বানাবে ঠিক করে নাও।'
তিনি আরও বলেন ঐশ্বর্য যেহেতু একজন দক্ষিণ ভারতীয় তাই তিনি চেয়েছিলেন যাতে তাঁর সংস্কৃত, ঐতিহ্যের ছাপ তাঁর পোশাকে ফুটে ওঠে। নীতার কথা অনুযায়ী, 'উনি তো দক্ষিণ ভারতীয় তাই তিনি সাজের মধ্যে নিজের সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। আর আমরা ঠিক সেটাই করেছিলাম।'
তিনি জানান ঐশ্বর্যর দাবি অনুযায়ী তাঁরা শাড়ি তৈরি করেন এবং সঙ্গে একটি ম্যাচিং জারদৌসি ব্লাউজ বানান। তাতেও ছিল দক্ষিণ ভারতের ছোঁয়া।
কেবল ঐশ্বর্যর বিয়ে নয়, হাম দিল দে চুকে সনম, দেবদাস ছবিগুলোতেও নীতা অভিনেত্রীর জন্য পোশাক ডিজাইন করেছিলেন।