বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা তিনি। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই কেরিয়ারের শীর্ষে আলিয়া ভাট। অথচ কম বয়সেই বিয়ে করার আর মা হওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রণবীর ঘরণী। মা হওয়ার পর নায়িকাদের কেরিয়ার শেষ, ননদ করিনার মতো তিনিও এই ধারণায় বিশ্বাসী নন। মেয়ে রাহাকে সামলে আলিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন উত্তর থেকে দক্ষিণ।
গত কয়েকটা মাসে আলিয়া যেখানেই হাত রেখেছেন সোনা ফলেছে। তাঁর দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ ছবি ‘আরআরআর’ অস্কার এনেছে। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি, রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি বক্স অফিস হিট। প্রযোজক আলিয়ার ‘ডার্লিংস’ প্রশংসা কুড়িয়েছে। হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর কাজ শেষ করেছেন আলিয়া, যা মুক্তি পাবে চলতি বছরে। একদিকে যেমন কেরিয়ারের শীর্ষে আলিয়া, তেমনই মনের কথা মন খুলে বলতেও ছাড়েন না তিনি।
সম্প্রতি নিজের জীবন দর্শন ভাগ করে নিয়েছেন আলিয়া। রাহা-মা জানান, ভুল করলে ক্ষতি নেই, তবে যিনি ভুল করছেন তার উচিত সেই ভুল স্বীকার করে নেওয়া। নিজের ভুলের দায়িত্ব গ্রহণ করা। মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কানেকশন হল সহজাত প্রবৃত্তি। আলিয়া বলেন, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে মতপার্থক্য হতেই পারে, হয়ত আপনি এমন কিছু ফ্যাশন চয়েস করলেন যার জন্য পরে আপনি আফসোস করবেন। কিংবা আপনি কোনও ভুল করলেন কিংবা কোনও পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেন। সেটা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন। এরপরেই আলিয়া বলেন, ভুল করার মধ্যে যেমন কোনও দোষ নেই। তেমনই সেই ভুল স্বীকার করে তার দায়িত্বটা গ্রহণ করতে হবে। আপনার মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করার সাহস থাকতে হবে।
গত বছর নভেম্বরে কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন আলিয়া। ২০২২ সালের এপ্রিলে দীর্ঘদিনের প্রেমিক রণবীর কাপুরের সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন অভিনেত্রী। বিয়ের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন আলিয়া, সেই নিয়ে কম ট্রোলিং-এর মুখে পড়েনি। তবে বিতর্ককে কোনওদিন পাত্তা দেন না নায়িকা। আগামী মাসেই এক বছর পূর্ণ করবে রাহা। মা হওয়ার পর ডিপ্রেশনে ভুগেছেন, নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন, সে কথাও অকপটে মেনে নিয়েছেন নতুন মা।
মাস কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে একজন বলেছিল, তুমি কোনওদিন ভালো মা হবে না, এমনকি পেশাদার মানুষও হবে না। মেয়ে হিসাবেও ব্যর্থ হবে’। সত্যি বলতে ‘গ্রেটনেস’ শব্দটা খুব ওভাররেটেড। সেরা হওয়ার দরকার নেই, কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো হলেই চলবে। কিন্তু তোমাকে সবার সঙ্গে সংযোগটা বজায় রাখতে হবে। আমি সেটাই করি। আমি বন্ধুদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগটা বজায় রাখি। তা সত্ত্বেও কখনও কখনও মনে হয়, আমি অনেক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ফেলেছি, কিন্তু এই দায়িত্বই হয়ত আমার সফলতার কারণ'।