শ্য়ুটিং চলাকালীনই রমরমিয়ে চলেছে ড্রাগসের বিকিকিনি। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ মালায়ালি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরে। গত কয়েক বছরে বলিউডের পাশাপাশি বারবার মাদক মামলায় নাম জড়িয়েছে দক্ষিণের কন্নড় ও মালায়ালি ইন্ডাস্ট্রির। মালায়ালি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ড্রাগসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে, মাদকের ব্যবহার ও বিক্রি দমনে তৎপর কোচি সিটি পুলিশ এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল।
পুলিশ কমিশনার কে সেতু রমন রবিবার জানান, এবার থেকে শহরে চলা সমস্ত শ্যুটিং লোকেশনে ছদ্মবেশে পুলিশ হাজির থাকবে। তিনি জানান, শ্যুটিং লোকেশনে হাজির পুলিশ অফিসাররা কোনওরকম আপত্তিকর পরিস্থিতির গন্ধ পেলেই চলবে রেইড। কে সেতু রমনের কথায়, ‘যারা আইন ভাঙছেন তাদের কড়া শাস্তি পেতেই হবে’। লোকজনকে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান কোচির পুলিশ কমিশনার।
তিনি বলেন,ইন্ডাস্ট্রি থেকে খবর আসছে প্রচুর অভিনেতারা ড্রাগস নিচ্ছেন। তাই জরুরি বৈঠক ডেকে তড়িঘড়ি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ জমা উপরে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রয়োজনে ড্রাগের নেশায় আসক্ত ব্যক্তিতে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সঠিক পথে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে সমস্ত ডেটা রয়েছে। কারা মাদক নিচ্ছেন সেই সম্পর্কে। কিন্তু মাদক বিক্রি কারা করছে সেই তথ্য মিলছে না। যদি আমরা সেই সব তারকা যাঁরা ড্রাগস নিচ্ছেন তাঁদের গ্রেফতার করি, তাহলে জামিনে ছেড়ে দিতে হবে। জরুরি বিষয় হল, এদের নিজে থেকে সচেতন হতে হবে, বুঝতে হবে মাদক সেবন কতটা ক্ষতিকারক’।
অভিনেতা টিনি টম সম্প্রতি মলিউডে ড্রাগের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে দুশ্চিন্ত প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি মালায়ালি ইন্ডাস্ট্রির এক সহকর্মীর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি, যে পুরোপুরিভাবে ড্রাগের নেশায় আসক্ত। মাত্রাতিরিক্ত ড্রাগ সেবনের ফলে তাঁর দাঁতে ক্ষয় ধেরেছে বলেও জানান টম। এই নিয়ে পুলিশে বয়ান রেকর্ড করবেন টম, এমনটা জানা গিয়েছে।
কোচির পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘এই ব্যাপারে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক প্রযোজক রয়েছেন, যারা বারবার অভিযোগ জানাচ্ছেন তরুণ অভিনেতাদের মাদক ব্যবহারের বিষয় নিয়ে’।