রণবীর কাপুরের অ্যানিম্যাল বক্স অফিসে যে এভাবে কামাল দেখাবে, তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। অবশ্য সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা এর আগেও দু দুটো হিট উপহার দেয় বক্স অফিসে। অর্জুন রেড্ডি আর কবীর সিং ভালো ব্যবসা করেছিল বক্স অফিসে। তবে অ্যানিম্য়াল ৭ দিনেই পেয়ে গেল অলটাইম ব্লকবাস্টারের তকমা।
চলতি বছরে তিনটে ছবি পেরিয়ে গিয়েছে ৫০০ কোটির ঘর। আর সেই তালিকায় চার নম্বর সংযোজন হতে চলেছে রণবীরের সিনেমা। ছবি খাতা খোলে ৬৩.৮ কোটি দিয়ে ১ ডিসেম্বর শুক্রবারে। sacnilk.com-এর রিপোর্ট বলছে অ্যানিম্যাল বৃহস্পতিবারে ঘরে তুলল ২৫.৫০ কোটি।
অ্যানিম্যালের বক্স অফিস রিপোর্ট:
হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কানাড়া, মালয়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল অ্যানিম্যাল। পরিচালনা সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার। ছবিতে আরও দেখা গিয়েছে রশ্মিকা মন্দনা, ববি দেওল, অনিল কাপুর, তৃপ্তি দিমরি। রণবীর কাপুরের সিনেমার প্রথম সপ্তাহের আয় হল ৩৪০ কোটি।
রণবীরের কেরিয়ারের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছিল সঞ্জু। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির আয় ছিল ভারতে ৩৪২.৫৩ কোটি। যা অ্যানিম্যাল পেরিয়ে গেল ৭ দিনেই।
তবে শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর দুটো বলিউড ছবি দখল নেবে হলের। যার মধ্যে রয়েছে ক্যাটরিনা কাইফের মেরি ক্রিসমাস, আর সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের যোদ্ধা। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা কমে যাবে অ্যানিম্যালের শো-এর সংখ্যা। যা ছাপ ফেলবে ব্যবসাতেও। তারওপর ২২ তারিখে চলে আসবে সালার আর ডাঙ্কি। সব মিলিয়ে খুব জলদি ৫০০ কোটিতে পৌঁছতে হবে অ্যানিম্যালকে। কম্পিটিশন বছর শেষে আরও বাড়বে।
বাবা ও ছেলের সম্পর্কই অ্যানিম্যালের বিষয়বস্তু। যেখানে দেখানো হয় ছোটবেলা থেকে কোনওদিন সেভাবে বাবার ভালোবাসা পায়নি রণবীর কাপুরের বিজয় চরিত্রটি। বাবাকে নিয়ে তাঁর পাগলামো দিনদিন বাড়তে থাকে। এতটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় যে বাবার কাৎণে একের পর এক খুন করতেও সে দ্বিধা করে না। ছবিতে একাধিক যৌনতার দৃশ্য রয়েছে। রশ্মিকা আর তৃপ্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রয়েছে রণবীরের। রক্তে মাখামাখি চেহারায় রণবীরের ইনটেন্স লুকের চর্চাও সর্বত্র। অনেকেই বলছেন, নিজের সেরাটা দিয়েছেন কাপুর নন্দন।
যদিও অ্যানিম্যালকে ‘টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি’ (বিষাক্ত পুরুষত্ব) বলে অভিহিত করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, সিনেমা যেখানে সমাজের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে তরুণদের মনে, সেখানে এই ধরনের সিনেমা বন্ধ করা উচিত। এমনকী, নয়াদিল্লিতে চলা রাজ্যসভার শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে ‘অ-বিধায়ক বিষয়গুলির’ (non-legislative matters) আলোচনার সময় রঞ্জিত বলিউড চলচ্চিত্র 'অ্যানিম্যাল'-এর নিন্দা করেছেন।
'সিনেমা আমাদের সমাজের একটি প্রতিচ্ছবি… আমরা সিনেমা দেখে বড় হয়েছি এবং এটি আমাদের সকলের উপর, বিশেষ করে তরুণদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু 'কবীর সিং', 'পুষ্পা', এবং এখন 'অ্যানিম্যাল'-এর মতো সিনেমাগুলি ইদানীং প্রকাশিত হচ্ছে যেখানে হিংসাকে মহিমান্বিত করা হচ্ছে', বলতে শোনা যায় রঞ্জনকে।