স্বপ্ন ছিলই, সেই মতোই পথ চলা শুরু করে দিলেন অঙ্কুশ। সম্পুর্ণ নিজের প্রযোজনায় ‘মির্জা’র শ্যুট শুরু করে দিলেন অভিনেতা। জীবনের তিন কাছের মানুষ মা-বাবা আর বান্ধবী ঐন্দ্রিলাকে পাশে নিয়েই প্রযোজক ও অভিনেতা হিসাবে মির্জার শ্যুটিং করলেন অঙ্কুশ।
টলি অনলাইনের ক্যামেরায় ও অঙ্কুশের ইনস্টাগ্রামে উঠে এসেছে মির্জার শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনের ছবি। যেখানে সেটে দাঁড়িয়ে মা-বাবার সঙ্গে গল্প করতে দেখা যাচ্ছে অঙ্কুশকে। কথা বলতে বলতেই মায়ের কপালে ভালোবাসা, শ্রদ্ধার চুমু দিতে দেখা গেল অভিনেতাকে। তাঁর মাও ছেলের পিঠে হাত দিয়ে স্নেহের স্পর্শ করেন, ছেলের গালে গাল দিয়ে আদরে ভরিয়ে দেন। সেই আদরে ভরা আবেগ ঘন মুহূর্ত উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরও একটা ভিডিয়োতে নারকেল ফাটিয়ে, পুজো করে ছবির শুভ সূচনা করতে দেখা গেল অঙ্কুশের বাবাকে। ক্যাপশানে লেখা হয়েছে, ‘মা-বাবা যখন পাশে তখন অঙ্কুশের মির্জাকে কে আটকায়!’
আরও পড়়ুন-ফেব্রুয়ারি থেকেই রামায়ণের রাম হয়ে শ্যুটিং করবেন রণবীর, শ্রীলঙ্কায় যাবেন 'রাবণ' যশ
এই ভিডিয়োর নিচে কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন নেটনাগরিকরা। এক ব্যক্তি প্রশংসা করে লিখেছেন 'অঙ্কুশদার বাবা খুব ভালো, সাধারণ মানুষ, একদম সেই বর্ধমানে যেমন ছিলেন।' আবার কেউ লিখেছেন, ‘অঙ্কুশদার মাতো বেশ সুন্দরী!’ এছাড়াও অসংখ্য কমেন্টে বহু অনুরাগীরা অঙ্কুশকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, আরও একটি ভিডিয়োতে কীভাবে ছবির সেট তৈরি করা হচ্ছে, কীভাবে টেকনিক্যাল টিম শ্যুটিংয়ের ছবির জন্য কাজ করেছেন, তার ঝলক সামনে এনেছেন অঙ্কুশ হাজরা। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে অঙ্কুশ লিখেছেন, ‘যাত্রা শুরু..আমার জীবনের সবচেয়ে বিশেষ মুহূর্ত। আপনাদের ভালবাসা, আশীর্বাদ এবং শুভকামনা প্রয়োজন.. এটা আমার ক্যারিয়ারের নয়, জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ.. আশা করি আমরা আপনাকে সেরা সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা দিতে পারব..’
এদিকে 'মির্জা'র শ্যুটিং-শুরুর দিন হাজির ছিলেন SVF এর অন্যতম কর্ণধার, শ্রীকান্ত মোহতা, প্রযোজক অশোক ধানুকা, অতনু রায়চৌধুরী। এবিষয়ে মির্জার নায়িকা ঐন্দ্রিলা সেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, ‘এই তিন ব্যক্তিত্বই তো ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পিলার, তাই তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ওঁরা এসেওছিলেন। কারণ সকলেই অঙ্কুশকে ভালোবাসেন। ওদের হাত ধরেই তো অঙ্কুশের কেরিয়ারের শুরু। শুধু রানেদা ( নিসপাল সিং রানে) আসতে পারেননি। শ্রীকান্ত মোহতা, অশোকজি, অতনু রায়চৌধুরী এদের কারোর সঙ্গেই অঙ্কুশের কোনও প্রতিযোগিতা নেই। ও (অঙ্কুশ) শুধু ওর স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটছে। ওঁরা সকলেই অঙ্কুশকে উৎসাহ দিয়েছেন, প্রযোজক হিসাবে অঙ্কুশকে গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন।’