উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের পর এবার সিকিম। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তা রুদ্র মূর্তি ধারণ করেছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা লম্বা অংশ জলে ধুয়ে গেছে। তলিয়ে গিয়েছে বাড়ি ঘর, ভেসে গিয়েছে মানুষ। খোঁজ নেই বহু সেনা জওয়ানদের, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। শহরের মধ্যে দিয়ে বইছে নদী। চারদিকেই ভয়ঙ্কর অবস্থা। আর এর মধ্যে এখানে একটি অনুষ্ঠান করতে এসে আটকে পড়েন নন্দী সিস্টার্সের অন্তরা নন্দী।
সিকিমের বিপর্যয়ে অন্তরা নন্দী
সিকিমের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মা জুঁই নন্দীর সঙ্গে এসেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে গ্যাংটকের এমজি মার্গের রাস্তায় রিল বানাতেও দেখা যায়। তারপরই ঘটে বিপদ, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ঘটে যাওয়া প্রবল বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে যায় সুন্দরী সিকিম। আর সেদিনই কলকাতা ফেরার ফ্লাইট ছিল তাঁর। বাগডোগরা থেকে বিমান ধরতেন তাঁরা। কিন্তু ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আটকে পড়েন তাঁরা।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অন্তরা একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। বলেন, 'আমরা বেরোনোর সময় জানতে পারলাম গতকাল এখানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে ফেরার একমাত্র রাস্তা ধসে গিয়েছে। এখানকার কলেজে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম, পারিনি। বাড়িতেও জানাতে পারছি না। আমি জানি না এই অবস্থায় কী করা উচিত।' একই সঙ্গে তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, 'বৃহস্পতিবার কলেজের সাহায্যেই আমরা দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিই। অনেক ঘুরে, দুটো ধসের সাক্ষী থেকে আমরা ফিরে আসি।'
আরও পড়ুন: নন্দী সিস্টার্সের গানের প্রশ্নবাণে জর্জরিত আবির, সঠিক উত্তর দিলেন কি?
আরও পড়ুন: রহস্য ফেলে গানে মত্ত ফেলুদা! নন্দী সিস্টার্সের অন্তরার সঙ্গে জমিয়ে গান পরমের
অন্তরা বৃহস্পতিবার তাঁর এই অভিজ্ঞতার ভিডিয়ো পোস্ট করেন, এবং সেখানেই ক্যাপশনে লেখেন যে, তাঁরা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। ঠিক ভাবে পৌঁছে গিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বোন অঙ্কিতার পরীক্ষা চলছে পুনেতে।
প্রসঙ্গত অন্তরা এখন কলকাতাতেই আছেন। ৬ অক্টোবর, রক্তবীজের নতুন গান মুক্তি পাবে। আর এই নাক্কু নাকুর না যাও ঠাকুর গানটি নন্দী সিস্টার্স অর্থাৎ অন্তরা এবং অঙ্কিতা গেয়েছেন। সেটারই লঞ্চ আছে। সিকিমের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়েই তিনি এই শহরে এসেছেন গান লঞ্চের অনুষ্ঠানের জন্য।