বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Anu Malik: ‘আমার মেয়ে স্টারকিড হয়েও বাইরের ছেলেমেয়েদের থেকে বেশি লড়াই করছে’, উল্টো সুরে গাইলেন অনু মালিক

Anu Malik: ‘আমার মেয়ে স্টারকিড হয়েও বাইরের ছেলেমেয়েদের থেকে বেশি লড়াই করছে’, উল্টো সুরে গাইলেন অনু মালিক

মেয়ে আনমোলের সঙ্গে অনু মালিক

অনু মালিক বলেন, যাঁরা একথা বলেন যে 'তারকা সন্তানদের নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা অনেকটাই সহজ', তাঁদের আমি বলব, একথা একেবারেই সত্যি নয়। আমি তো বরং উল্টোটাই বলব। আমার মনে হয় স্টার কিড (তারকা সন্তান)দের থেকে বাইরে থেকে আসা ছেলেমেয়েদেরই এটা করা বেশি সহজ।

বলিউড হোক কিংবা টলিউড, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াইয়ে তারকা সন্তানরা সবসময়ই এগিয়ে। 'স্বজনপোষণ', 'নেপোটিজম', এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা তাই বারবার এসেই যায়। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়েই সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অনু মালিক। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে নিজের লড়াইয়ের দিন গুলির কথা এবং কীভাবে তাঁর মেয়ে আনমোল ও আদা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করেছেন সেবিষয়ে মুখ খুলেছেন অনু মালিক।

অনু মালিক বলেন, যাঁরা একথা বলেন যে 'তারকা সন্তানদের নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা অনেকটাই সহজ', তাঁদের আমি বলব, একথা একেবারেই সত্যি নয়। আমি তো বরং উল্টোটাই বলব। আমার মনে হয় স্টার কিড (তারকা সন্তান)দের থেকে বাইরে থেকে আসা ছেলেমেয়েদেরই এটা করা বেশি সহজ। 

নিজের মেয়ের উদাহরণ টেনে অনু মালিক বলেন, ‘আমার মেয়ে আনমোল একজন দারুণ গায়ক। আমি তো বহু গায়ককে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছি, কিন্তু কেউ কি আমার মেয়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য এগিয়ে এসেছেন?’ এরপর অনু মালিক তাঁর মেয়ে আনমোলের গাওয়া গান যেমন 'নাগিন ডান্স', 'তাল্লি' সহ আরও কিছু গানের উল্লেখ করেন। বলেন, আমার তো মনে হয় আনমোল আমার থেকেও বেশি লড়াই করছে। 

অনু মালিকের কথায়, ‘ও(আনমোল) কিন্তু কারও কাছ থেকে কাজ চায়নি। তবে অনেকেই ওঁর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। ও তো আমার মেয়ে, তারপরেও কিন্তু অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি আমি ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যতটা লড়াই করছি, তার থেকেও বেশি। আমার ছোট মেয়ে আদাও খুব পরিশ্রম করেছে। ও একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। আমি ও আমার স্ত্রী ঠিক করেছি, সন্তানদের শেখাবো, ওঁদের শিক্ষিত করে তুলব, যাতে ওঁরা সমাজে মাথা উঁচু করে রাখতে পারে।'

অনু মালিকের কথায়, ‘বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেক প্রতিষ্ঠিত করা মোটেও সহজ নয়। এখানে কাজ করতে গিয়ে দেহ, মন ও অর্থ, সবরকম সমস্যাই আমি দেখেছি। একবার উঁচু স্কেলে গান গাইতে গিয়ে আমার মুখ দিয়ে রক্তও বেরিয়েছে। শুধু ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রমই একমাত্র কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করে।’

 

বন্ধ করুন