টলিউডের নামী অভিনেত্রী তিনি। ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা, কাজ করে গিয়েছেন চুটিয়ে। গোলগাল, লক্ষ্মীমন্ত চেহারার অভিনেত্রীকে বড়ই ভালোবাসেন দর্শকরা। একইভাবে অভিনেত্রীকে ভালোবাসেন তাঁর সহকর্মীরাও। সদাহাস্য অপরাজিতার সামাজিক মাধ্যমে ফলোয়ার্সের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
বেগুনি সিল্কের শাড়ি পরে, স্ট্রেট করা খোলা চুল এলিয়ে কিছু ছবি পোস্ট করে নিলেন অপরাজিতা সোশ্যাল মিডিয়াতে। গায়ে সোনার গয়না। মুখে সেই মিষ্টি হাসি। আর ক্যাপশনে লিখলেন, ‘যা ছিলনা ছিলনা তা না পাওয়াই থাক সব পেলে নষ্ট জীবন।’ এত সফল অভিনয় কেরিয়ার, ২৬ বছরের সুখী দাম্পত্য, তাও কি কিছু না পাওয়া রয়ে গিয়েছে অপরাজিতার জীবনে?
আরও পড়ুন: ভয়ানক দুর্ঘটনার মুখোমুখি দিব্যাঙ্কা, ভেঙেছে হাতের দুটি হাড়, করাতে হবে অপারেশন
নিজেদের কোনও সন্তান নেই অপরাজিতা আঢ্য আর অতনু হাজরার। বউ হিসেবে স্বামীর ভালোবাসায় আগলে থাকেন তিনি। বড় ভালোবাসে শাশুড়িও। নিজের সন্তান হয়তো নেই, তবে মা ডাকার মানুষেরও অভাব নেই। তিনি গার্গীর যশোদা মা। মেয়েটিকে ছোটবেলা থেকেই নিজের কাছে রেখে মানুষ করেছে। পেশায় গার্গী বর্তমানে ব্যাঙ্কার। বাড়ি অপরাজিতার বাপের বাড়ির পাড়াতেই। নিজের মা-বাবা থাকলেও, থাকে সে অপরাজিতাদের সঙ্গেই। অপরাজিতাকে বলেন ‘মণিমা’, আর অতনুকে ‘বাপি’।
এক সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা জানিয়েছিলেন, গত বছর যখন অতনুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন ৭ দিন টানা হাসপাতালেই ছিল গার্গী। অভিনেত্রীর বিশ্বাস, তাঁর নিজের সন্তান থাকলেও, গার্গীর মতো হতে পারত না।
আরও পড়ুন: হচ্ছে স্মৃতিভ্রম, কোমরে অপরাশেন, ১০ দিন ধরে হাসপাতালে ঋতাভরীর বাবা, জাতীয় পুরস্কারজয়ী উৎপলেন্দু
গার্গী নিজেও জানিয়েছিলেন, ১৬-১৭ বছর বয়স থেকে তিনি থাকেন অপরাজিতার কাছে। আজ ২০ বছর ধরে এখানেই আছেন। বাপি আর মামণি (অতনু আর অপরাজিতা)-কে ছেড়ে বিয়ে করার কথাও ভাবতে পারেন না! তাঁর বিশ্বাস, বহুদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে তিনি এই দুজনের মতোই দেখতে হয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কটাক্ষে বুড়ে আঙুল, ৬ বছরের ছোট রাতুলকে আজই বিয়ে রূপাঞ্জনার, কেমন সাজবেন বর-কনে?
আপাতত কাজের সূত্রে অপরাজিতাকে দেখা যাচ্ছে জল থই থই ভালোবাসায়। সেখানে তিনি ৩ সন্তানের মা। ২ ছেলে আর ১ মেয়ে। তবে মেয়ে তোতা মায়ের সব আদবার-ভালো থাকার সঙ্গী হলেও, ছেলেরা সমালোচনা করেন মা-কে। অপরাজিতার কোজাগরীর চরিত্রটি বাঁচতে ভালোবাসে নিজের শর্তে। আর মায়ের এই স্বভাবই পছন্দ করে না তাঁর দুই ছেলে টিটো আর টিনটিন।