Arijit Singh: হাওড়াবাসীকে অরিজিতের ‘বড়’ উপহার, ক্রিসমাস কার্নিভালের থিম গান গাইতে কত টাকা নিলেন?

Arijit Singh: হাওড়াবাসীর মুখে হাসি ফোটালেন অরিজিৎ। ক্রিসমাস কার্নিভালের গান গাইতে এক পয়সাও নিলেন না গায়ক।

অরিজিৎ সিং  

এবার ক্রিসমাসে কলকাতার পাশাপাশি আনন্দ উপভোগের অন্যতম ডেস্টিনেশন হাওড়ার ডুমুরজলাস্থিত ষষ্ঠী-নারায়ণ ইকো পার্ক। হাওড়ায় এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্রিসমাস কার্নিভাল। আর সেই কার্নিভালের সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে অরিজিৎ সিং-এর নাম। হাওড়ার ক্রিসমাস কার্নিভালের থিম গানটি গেয়েছেন জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র, সেই খবর আগেই সামনে এসেছিল। এবার জানা গেল এই গানের জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন অরিজিৎ। শুনলে আপনি চমকে যেতে পারেন!

বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম চর্চিত গায়ক। দেশের তাবড় তাবড় মিউজিক ডিরেক্টররা অরিজিতের সঙ্গে কাজ করতে হা-পিত্যেশ করে বসে থাকেন। লাখ-লাখ টাকায় বিকোয় অরিজিতের গানের কনসার্টের টিকিট। অথচ হাওড়াবাসীর জন্য গান গাইতে এক টাকাও নেননি তিনি! এই কথা জানিয়েছেন খোদ হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। 

সুজয় বাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হাওড়ার কার্নিভালে গান গাওয়ার জন্য কোনও টাকা নেননি অরিজিৎ সিং। এত বড় গায়ককে টাকা দিয়ে গান গাওয়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই’। অকপটে মেনে নিলেন তিনি। কীভাবে অরিজিতের দ্বারস্থ হল পুরসভা? তিনি বলেন, এক এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ হয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া নিয়েছেন অরিজিৎ, নিরাশ করেননি। গায়ককে বারংবার ধন্যবাদ জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।

হাওড়াবাসীর জন্য অরিজিতের এই ‘বড় উপহার’ নিঃসন্দেহে কুর্নিশযোগ্য। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন,‘হাওড়াবাসীর জন্য কোনও অর্থ ছাড়াই গান গাইতে রাজি হয়েছেন অরিজিৎ সিং। তিনি এক বড় একজন গায়ক! তবুও সামান্য পারিশ্রমিক বা সাম্মানিক হিসেবে অর্থ নেননি। আমরা এই উৎসবের দিনগুলিতে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

সমাজসেবামূলক কাজের জন্য পরিচিত অরিজিৎ। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে দীক্ষিত তিনি। এলাকার ছেলেমেয়েদের ইংরাজী শিক্ষা হোক বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সব দিকেই নজর তাঁর। আপদে-বিপদে মানুষের পাশে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এবার হাওড়াবাসীর মুখে হাসি ফোটালেন গান গেয়ে। চলতিবর মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের থিম গানও গেয়েছিলেন অরিজিৎ। 

প্রসঙ্গত, গত ২২ তারিখ অরিজিতের গানেই উদ্বোধন হয় কার্নিভালের। এই উৎসব চসবে ২রা ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২টো থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কার্নিভাল। আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাকবে খাবারের স্টল-সহ একাধিক সামগ্রী।