Arijita-Didi No 1: দর্শক করে মৃত্যু কামনা! রাস্তায় লোক ডাকে ‘বাবুউউ’,অরিজিতা বললেন দিদি নম্বর ১-এ

নিম ফুলের মধু সিরিয়ালে অরিজিতার চরিত্রের নাম কৃষ্ণা। সেখানে ছেলে সৃজনকে সুর করে ‘বাবুউউ’ ডাকেন তিনি। আর তাই রাস্তার লোকও আজকাল তাঁকে ডাকে ‘বাবুউউ’ বলে।

নিম ফুলের মধু করে বিড়ম্বনায় কৃষ্ণা দত্ত ওরফে অরিজিতা। 

আপাতত টিআরপি চার্টে দুর্দান্ত ফল করছে নিম ফুলের মধু। গত সপ্তাহে ছিল বেঙ্গল টপার। আর চলতি সপ্তাহে তা জায়গা করে নিয়েছে দুই নম্বরে। পর্ণা আর সৃজনের পাশাপাশি ধারবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ হল পর্ণার শাশুড়ি। যেই চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অরিজিতা মুখোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি অভিনেত্রী এসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদি নম্বর ১ শো-তে। আর সেখানেই জানালেন জীবনের বড় বিপর্যয়ের কথা।

অরিজিতার চরিত্রের নাম কৃষ্ণা। যে ছেলের ভালোবাসায় অন্ধ। এতটাই যে মনে মনে হিংসে করে বউমাকে। ছেলে-বউমা যাতে কোনও সম্পর্কে না আসে তাই করে নানা রকমের পরিকল্পনা। কখনও ভুয়ো সন্ন্যাসী এনে পর্ণাকে বলে সৃজনের থেকে দূরে থাকতে। আবার কখনও অন্য মেয়ে খুঁজে আনে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবে বলে। যদিও এইসব শয়তানি দেখানো হয় বেশ মজার ভঙ্গিতে। কারণ প্রতিটা ক্ষেত্রেই পর্ণার হাতে নাকাল হয় কৃষ্ণা।

এই ধারাবাহিকের আরেক আকর্ষণ হল, অভিনেত্রীর গলায় সুর করে ‘বাবুবুউউউউউ’ ডাকখানা। দিদি নম্বর ১-এ এসে মজার ছলে অরিজিতা জানালেন, এই বিশেষ সুর এতটাই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে যে রাস্তাঘাটে নাকি অরিজিতাকে দেখলেই মানুষ ওই বিশেষ সুরে আওয়াজ দিচ্ছেন। 'বাবু' বলে ডাকছেন তাঁকে। এই কথা শুনে হাসি থামাতে পারলেন না রচনাও।

এরআগে আজতকবাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অরিজিতা জানান, ‘আমাদের একটা গ্রুপ আছে। ওখানে যাকে নিয়ে যা মিম বানানো হয় সব পোস্ট করা হয়। আর সেই মিমগুলো এলেই আমাদের গুলতানি বসে যায়। একে অন্যকে শেয়ার করি। মজা লাগে। অনেক সময় তো এই পোস্ট দেখেই পেট ভরে যায়।’ 

সঙ্গে জানান কীভাবে তাঁর মৃত্যুকামনাও করে কিছু মানুষ। বলেন, ‘যখন চাকরি ছেড়ে এই পেশায় আসি তখন জানতাম ভালো-মন্দ দুই শুনতে হবে। অমিতাভ বচ্চনকেও কিন্তু সবাই পছন্দ করেন না। এখন মিম দেখলেও তাই বেশ মজাই লাগে। একবার তো আমার অর্থাৎ কৃষ্ণার ছবিকে ফোটোশপ করে পেত্নী সাজিয়েছিল একজন। তবে এগুলো ঠিক থাকলেও, ব্যক্তিগত আক্রমণ ভালো নয়। আমার মা এগুলো নিতে পারেন না। একবার তো একজন বলেছিলেন যে আমার যেন কঠিন রোগ হোক আর তাতে আমি মরে যাই। এগুলোই খারাপ লাগে আর কী।’