এসপি প্রার্থী জয়া বচ্চন মঙ্গলবার রাজ্যসভা নির্বাচনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে অভিনয়কে খানিক দূরে রেখে রাজনীতিতেই মন দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাঁকে রাজ্যসভায় তাঁর টানা পঞ্চম মেয়াদে এসপি সাংসদ হিসাবে দল পুনরায় মনোনীত করেছে।
মনোনয়নপত্র পেশ করার সময় জয়া বচ্চন নিজের ও অমিতাভ বচ্চনের সম্পত্তির মোট পরিমাণ পেশ করেছে। রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর অভিনেতা-স্বামী অমিতাভ বচ্চন যৌথভাবে ১৫৭৮ কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
আরও পড়ুন: ‘অন্তত ২০০ সেলফি…’! কনসার্টে মাইক দিয়ে মার, আদিত্যর হয়ে সাফাই ইভেন্ট ম্যানেজারের
হলফনামা অনুসারে, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত জয়া, যিনি ২০০৪ সাল থেকে এসপি-র প্রতিনিধিত্ব করছেন, তিনি অনুমোদন, এমপি বেতন, পেশাদার ফি থেকে সম্পত্তি সংগ্রহ করেছেন। যেখানে অমিতাভ সুদ, ভাড়া, লভ্যাংশ, মূলধন লাভ এবং সৌর প্ল্যান্ট থেকে আয় করছেন। জয়ার ৪০.৯৭ কোটির গয়না রয়েছে এবং ৯.৮২ লাখ টাকার একটি ৪ চাকার গাড়ি। অমিতাভের রয়েছে ৫৪.৭৭ কোটির গয়না ও ১৭.৬৬ কোটির ১৬টি গাড়ি রয়েছে। যার মধ্যে দুটি মার্সিডিজ এবং একটি রেঞ্জ রোভার। এই দম্পতি যৌথভাবে ৮৪৯.১১ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি এবং ৭২৯.৭৭ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তির মালিক।
আরও পড়ুন: ‘টিকবে না নন্দিনী’, ১৯ বছরের বাপ-মা মরা সাগরের হোটেলে স্বস্তিকা, ফুটেই খেলেন ভাত
জয়া ১৯৭৩ সালের জুন মাসের ৩ তারিখে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জয়া ও অমিতাভ একসঙ্গে প্রথম কাজ করেন হৃষিকেশ মুখার্জীর ‘গুড্ডি’-তে। জয়াই আগে প্রেমে পড়েছিলেন অমিতাভের। এরপর ‘এক নজর’-এর সেটে অমিতাভেরও ভালো লেগে যায় জয়াকে। ‘জঞ্জির’ ছবিতে কাজ করার সময় বিয়ে করে নেন তাঁরা। সিনেমা হিট হলে ছবির গোটা কাস্ট লন্ডন যাবেন, এমন পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি বিগ বি-র পরিবার। বিয়ের আগে কোনও মেয়ের সঙ্গে ছেলেকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না তাঁরা। বিয়ের সেরে সেই রাতেই লন্ডনে গিয়েছিলেন জয়া-অমিতাভ।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে জন্ম দিয়েছেন ৩ সন্তান! এরা নামি বলি পরিচালকের ছেলে-মেয়ে, বলুন তো কে?
বিয়ের পর থেকেই জয়া বচ্চন ধীরে ধীরে কাজ কমিয়েছেন। তবে অমিতাভ ৮১ পেরিয়েও করে যাচ্ছেন শ্যুট নিয়মিত। সিনেমা, বিজ্ঞাপন, কেবিসিতে রোজই দেখা যায় তাঁকে। অমিতাভ মাঝে রাজনীতিতেও এসেছিলেন। যদিও মেয়াদ বড়ই কম। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরে রাজীব গান্ধী সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে আসেন। আর বাল্য বন্ধুর আবদার রাখতে এলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে ভোট লড়েছিলেন।