এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের শাড়ির কালেকশন সকলের সামনে এনে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন বাড়ির সাড়ে দশখানা আলমাড়ি শাড়িতে থাকে ঠাঁসা। সঙ্গে ফাঁস করেছিলেন দু'লাখ টাকা দামের শাড়িও তাঁর কাছে আছে। ছোটবেলা থেকে মায়ের দেখে কীভাবে শাড়ি পরার শখ জন্মেছিল তাঁর, সেটাও জানিয়েছিলেন নিজের মুখে। এবার তাঁর কাছ থেকেই জানা গেল একটি জামদানি শাড়ি পরে রাস্তায় বের হয়ে কীভাবে তা খুলে গেলে অপদস্থ হতে হয়েছিল তাঁকে।
বৈশাখীর কথায়, আর পাঁচটা মেয়ের মতো তাঁরও জামদানি শাড়ির প্রেমষ আর এটা এসেছিল বাবার থেকে। তাঁর বাবা ব্যবসাসূত্রে বাংলাদেশ গেলে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী তাঁর মায়ের জন্য একটি জামদানি উপহার দেন। যদিও বৈশাখীর বাবা তা তুলে দেন ছোট কন্যেকে। কমলা শাড়িটির রং মনে না ধরলেও, বাবার মন রাখতে পরে বেরিয়েছিলেন পূজোর অষ্টমীর দিন। বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে পাড়া বেড়াতে। ফেরার সময় দেখেন সব৭াই তাঁর দিকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। তিনিও অবাক হয়ে ভাবছিলেন, ‘আমাকে এত ভালো লাগছে যে সবাই দেখছে!’ বান্ধবীর মনেও প্রশ্ন জেগেছিল, ‘বৈশাখী সবাই তোকে কেন দেখছে?’ আরও পড়ুন: ১০ আলমারি শাড়ি রয়েছে শোভনের বৈশাখীর, দু' লাখের শাড়িও একবার পরা হলে কী করেন?
তারপর বাড়ি আসার পর ধরা পড়ে রাস্তাতেই খুলে গিয়েছিল শাড়িটি। ঘোরার আনন্দে ‘ছোট বৈশাখী’ তা টেরই পাননি।
গত বছর থেকে বৈশাখী আর শোভনকে নিয়ে চর্চা আরও বেড়েছে! পুজো স্পেশ্যাল একাধিক ফোটো আর ভিডিয়ো শ্যুটে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর দশমীতে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুরও দেন শোভন। তাঁর আর রত্নার ডিভোর্স না হলেও, বৈশাখী আলাদা হয়ে দগিয়েছেন প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের থেকে।