প্রয়াত বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তিনি। ঢাকার গ্রিনরোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। খালিদের মৃত্যুর খবরটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী ও উপস্থাপক তানভীর তারেক। তিনি জানান, সন্ধ্যার পরে অসুস্থ বোধ করেন খালিদ। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। বাড়ি থেকে তাঁকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আরও পড়ুন: আরিয়ানের D'YAVOL X-এর একটা জ্যাকেটের দাম লাখ টাকার মতো! তাও কেন কিনছেন খদ্দেররা
‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’— এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা খাদিল। যার গান একসময় পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি-বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে। তাঁকে আশির দশকে মানুষ চিনত ‘চাইম’ ব্যান্ডের খালিদ নামে। আরও পড়ুন: ‘মেসবাড়ি’র গল্প বলবেন খেয়ালী, বিশ্বনাথ, দেবদূতরা! মুক্তি পেল শর্ট ফিল্মের ট্রেলার
অনেকদিন ধরেই গান থেকে দূরে খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেন দূরে সরে যান। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউ ইয়র্কে বসবাস করতেন। তাঁর এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের চলে যেতেন বিদেশ। কয়েক মাস আগে স্ত্রী সহ দেশে আসেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তাঁর হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো ছিল।
১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেন খালিদ। ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ, তাঁর গান এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮৩ সাল থেকে ব্যান্ড চাইমে গাইছেন খালিদ। শিল্পীর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সোমবার রাতে ঢাকার গ্রীন রোড জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাঁর নশ্বর দেহ গোপালগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাঁর দেহ।