বাংলার শিল্পীরা আনপ্রফেশনাল! বাঙালি প্রযোজকের কটূক্তিতে বিস্ফোরক শিলাজিৎ

‘দাড়ি থাকুক বা না থাকুক আমি শিলাজিৎ। অসভ্যতাকে ক্ষমা বারবার করা যায় না', বাঙালি প্রযোজকের কটুক্তির যোগ্য জবাব দিলেন শিলাজিৎ।

শিলাজিৎ মজুমদার

এক বাঙালি প্রযোজকের উপর একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গায়ক-অভিনেতা শিলাজিৎ মজুমদার। এক ‘দেবীজি’-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তিনি। কিন্তু ব্যক্তির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গায়ক-অভিনেতা। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিলাজিৎ দাবি করেছেন, ওই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বাংলায় বসে কাজ করছেন আবার বাংলার শিল্পীদের কটূক্তি করছেন। 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটান শিলাজিৎ। নিজের একটি ছবি শেয়ার করে গর্জে উঠলেন তিনি। লিখেছেন, ‘দাড়ি থাকুক বা না থাকুক আমি শিলাজিৎ। অসভ্যতাকে ক্ষমা বারবার করা যায় না। একবার, দুবার, তিনবার ঠিক আছে। এবার আপনি তৈরি থাকুন আমি আসছি দেবী জি। আপনার অফিস এ আসছি। দেখবেন এবার যেন চমকে উঠবেন না উরি বাবা রে বলে।’

শিলাজিৎ বলেন, এক বাঙালি প্রযোজক বলেছেন, ‘কলকাতার আর্টিস্টরা আনপ্রফেশনাল। বসে বসে পয়সা নেয়!' সেই ব্যক্তির মুখে একাধিকবার একথা শুনেছেন তিনি। চুপচাপ থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এতবার একই কথা শুনে সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। তাই এনিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। 

জানা যায়, তিন মাস আগে এই ঘটনার সূত্রপাত। কোনও এক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ডাক পেয়েছিলেন শিলাজিৎ। লুক টেস্টে তাঁকে বড় মাপের পোশাক পরানো হয়েছিল। সেকথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই নাকি পোশাক কারিগরকে কটূক্তি করেন সেই মহিলা প্রযোজক। শিলাজিৎ বলেন, সেই সময় তিনি জানতে পারেন, ডিজাইনারের কোনও দোষ নেই। প্রযোজকের নিদের্শ ছিল, ‘একই পোশাক দুই শিল্পীকে পরাতে হবে। মাপে মিলুক বা না মিলুক! এ ভাবেই তিনি চুরি করেন। দুই মাপের পোশাক থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার না করে। এবং তার জন্য ধার্য দ্বিগুণ অর্থ নেন।’

শিলাজিৎ-এর বক্তব্য, সেদিন কথাগুলো শুনে তাঁর হজম করতে সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু প্রযোজক একদিন তাঁর ভুল বুঝতে পারবে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু এই একই ধরণের কথা এরপর বার বার শুনে আসছেন অভিনেতা-গায়ক। শিলাজিতের ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সেই প্রযোজক। তাই এই মাধ্যমে বেছে নিয়ে খোলাখুলি শিলাজিৎ জানিয়েছেন, ‘সেদিন যখন এ ভাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে অপমান করেছিলেন, আপনাকে ক্ষমা করেছিলাম। আর না। আপনি এ বার মুম্বই যাওয়ার টিকিট কাটতে দিন আপনার প্রোডাকশনকে। কলকাতায় কাজ করবেন আর কলকাতার অপমান করবেন!’

শিলাজিতের ক্ষোভ, বাংলায় বসে তাঁরা কাজ করবেন, বেশি অর্থ দিয়ে মুম্বই থেকে অভিনেতাদের আনাবেন। অথচ বাংলা শিল্পীদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত করবেন। তাঁর মতো এ রকম আরও অনেকেই আছেন বলে দাবি করেন অভিনেতা গায়ক। এই অন্যায় বেশিদিন চলতে পারে না, এই শেষ হওয়ার দরকার রয়েছে মত শিলাজিৎ-এর।