নেপালে নিষিদ্ধ হয়ে গেল সমস্ত বলিউডি ছবি। নেপথ্যে ওম রাউতের ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে দেখানো একটি 'ভুল'! ১৮ জুন, রবিবার, কাঠমাণ্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ নেপালের রাজধানীর সমস্ত হলে বলিউডের সমস্ত ছবির প্রদর্শন বন্ধ করার নির্দেশ জারি করলেন।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? ছবিতে কোন ভুল দেখানো হয়েছে?
আদিপুরুষ ছবিতে সীতাকে ভারত-কন্যা বলা হয়েছে। ছবি মুক্তি পাওয়ার পরই কাঠমাণ্ডুর মেয়র এই ছবির নির্মাতাদের অনুরোধ করেন এই ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য। অথবা সিনটা বাদ দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ছবির নির্মাতাদের তরফে এই বিষয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে, আর ভুল শুধরানো নো হওয়ার কারণে তিনি সেই দেশে সমস্ত বলিউডের ছবির উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন।
বালেন্দ্র শাহের মতে সীতা জনকপুরের রাজা জনকের কন্যা ছিলেন। আর এই ছবিতে সেখানে তাঁকে ভারতের কন্যা বলে দাবি করা হয়েছে, যেখানে জনকপুর নেপালে অবস্থিত।
‘আদিপুরুষ’ ছবিটা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একটার পর একটা বিতর্ক উসকে গিয়েছে। কখনও হনুমানের মুখের ভাষার জন্য, কখনও খারাপ মানের ছবি বানানোর জন্য, তো কখনও রামায়ণের মূল গল্পই বদলে দেওয়ার জন্য। তার মধ্যে নবীনতম সংযোজন হল নেপালের এই বিতর্ক।
এই গোটা বিষয়ে কাঠমাণ্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ বলেন, 'তিনদিন আগে আমরা এই ছবির নির্মাতাদের বলেছিলাম ছবিতে যেখানে জানকীকে ভারতীয় বলে দাবি করা হয়েছে সেই জায়গাটা সরিয়ে দিতে। নেপালের সরকার এবং নেপালিদের কাছে নেপালের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা আত্মসম্মান সবার আগে। তাই যতক্ষণ না এই আপত্তিকর জায়গা বদলানো হচ্ছে ততক্ষণ কাঠমাণ্ডুর মিউনিসিপ্যাল এলাকায় কোনও বলিউডি ছবি প্রদর্শিত হবে না।'
নেপালের জনকপুরের কন্যা হিসেবে মনে করা হয় সীতাকে। ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণের এই মূল নারী চরিত্রের সঙ্গে নেপালের যোগ আছে বলে তাঁরা গর্বিত। কিন্তু সেখানে এই ছবিতে সীতাকে ভারতীয় বলায় বেজায় ক্ষুব্ধ নেপালের সরকার। বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতের সঙ্গে নেপালের নানা বিষয় নিয়ে সমস্যা জারি আছে। এর মধ্যে নবীনতম সংযোজন হল এই 'আদিপুরুষ বিতর্ক।