সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় বড় রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট। সুশান্তের দুই দিদিদের বিরুদ্ধে আনা রিয়ার এফআইআর থেকে একজনের (মিতু সিং) নাম খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট, তবে প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে আনা রিয়ার অভিযোগকে সম্পূর্নরূপে উড়িয়ে দিল না আদালত।
চলতি বছরের শুরুতে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বম্বে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তবে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত। অবশেষে সেই রায় শোনাল বম্বে হাইকোর্ট।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতারির কয়েক ঘন্টা আগে, ৭ই সেপ্টেম্বর পালটা অভিযোগ আনেন রিয়া। অভিনেত্রী, প্রয়াত অভিনেতার দুই দিদির বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই মামলাও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় মুম্বই পুলিশ। সেই এফআইআর রদ করার জন্য বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিতু ও প্রিয়াঙ্কা। রিয়ার অভিযোগ, ৮ জুন অভিনেতার মৃত্যুর মাত্র ৬ দিন আগ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা সিং ‘ভুয়ো’ প্রেসক্রিপশন সুশান্তকে পাঠিয়েছিল। যেখানে নেক্সিটো (৫ মিলিগ্রাম), লিব্রিয়াম (১০ মিলিগ্রাম) এবং লোনাজেপ (০.৫ মিলিগ্রাম) সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ এবং এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫-এর আওতাধীন।
সুশান্তের দিদিরা তাঁদের আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের মাধ্যমে আদালতকে পালটা জানান, তাঁদের কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়ী করা যেতে পারে না কারণ সেই অভিযোগের ভিত্তি একমাত্র একটি প্রেসক্রিবশন যা এক চিকিত্সকের দেওয়া এবং এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ জাজমেন্ট মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
রিয়ার এফআইআর সম্পর্কে গত বছর অক্টোবরে বম্বে হাইকোর্টকে সিবিআই জানায়, এটি 'জলঘোলা করার চেষ্টা মাত্র ও সেটি আইনানুগ নয়’। রিয়ার এফআইআরের বিরোধিতা করে বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ১৪ই জুন বান্দ্রার মাউন্ট ব্লাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ, প্রাথমিক তদন্তে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে মুম্বই পুলিশ, যদিও সেই তত্ত্বে সন্তুষ্ট ছিল না এসএসআর ভক্তরা। অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। প্রায় সাত মাস ধরে তদন্তের পরেও এখনও সিবিআই নিশ্চিতভাবে জানায়নি আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত নাকি এই মামলায় কোনওরকম ফাউল প্লে জড়িয়ে রয়েছে।