২০১৮ সালে দুবাইয়ের মাটিতে মৃত্যু হয় বলিউড তারকা শ্রীদেবীর। নায়িকার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তাঁর স্বামী ও প্রযোজক বনি কাপুরের দিকে। বলিউডে আশির দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন তিনি। শুধু বলিউডে নয়, চুটিয়ে কাজ করেছিলেন দক্ষিণী বিনোদন জগতেও। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের প্রযোজক ও কাপুর পরিবারের সদস্য বনি কাপুরকে বিয়ে করেন শ্রীদেবী।
দু’দশকের বেশি সময়ের সংসার। দুই মেয়ে জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুরকে বড় করেছেন একসঙ্গে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ মেলে দুঃসংবাদ। বিদেশের মাটিতে নাকি প্রয়াত হয়েছেন শ্রীদেবী। নায়িকার মৃত্যুতে রীতিমতো নড়ে গিয়েছিল বিনোদন জগৎ। বাথটাবে ডুবে নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ‘ময়দান’ ছবির প্রচারের সময় ছবির প্রযোজক বনি কাপুর স্ত্রী শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন।
কথোপকথনের সময় আবেগঘন হয়ে ওঠেন বনি কাপুর। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। সাক্ষাৎকারে এ বিষয় এড়িয়ে যেতে বলেছেন, কারণ বিষয়টি নিয়ে কথাই বলতে চাননি তিনি। জুম টিভিকে বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। আজও আমি ওকে মিস করি, প্রতি সেকেন্ড, প্রতিদিন, প্রতি মিনিটে। এটা এমন একটা বিষয় যেটা আমি মন থেকে কোনওদিন মুছে ফেলতে পারব না’।
২০১৮ সাল, শ্রীদেবীর মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে দুবাইয়ে শুরু হয়েছিল তদন্ত। এমনকি, অভিযোগের তির উঠেছিল স্বামী বনির দিকেও। পাঁচ বছর পরে তিনিই ফাঁস করলেন স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যের সত্য। বাথটাবেই বা কী করে ডুবে গেলেন নায়িকা? উঠেছিল এই প্রশ্নও।
২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে বনি জানিয়েছিলেন, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি শ্রীদেবীর। তা হলে? বনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী তো আর পাঁচ জনের মতো স্বাভাবিক ভাবে মারা যায়নি। ওটা একটা দুর্ঘটনা ছিল। আমি এত দিন এই নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলিনি, কারণ ওর মৃত্যুর পরে তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে আমাকে এ নিয়েই কথা বলতে হয়েছিল। এমনকি, আমাকে ‘লাই-ডিটেকটর টেস্ট’ও করাতে হয়েছিল। তার পরে তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেছিলেন যে, আমি কোনও অপরাধ করিনি। রিপোর্টেও তো প্রকাশ্যে এসেছিল যে দুর্ঘটনার ফলেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর।’
কিন্তু বাথটাবে কী ভাবে পড়ে গেলেন নায়িকা? বনি বলেছিলেন, ‘শ্রীদেবী মাঝে মাঝেই উপোস করত। সারা দিন কিছু খেত না। কারণ ও মনে করত যে পর্দায় সুন্দর দেখানোর জন্য ওকে ওর চেহারা ধরে রাখতে হবে। এমনকি, ও তো মাঝেমাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়েও যেত। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলে এটা হচ্ছে।’ লাস্যময়ী চেহারা ধরে রাখার জন্যই নাকি খাওয়াদাওয়া মাঝে মাঝে একেবারেই ছেড়ে দিতেন। বনি বলেন, ‘নাগার্জুন আমাকে জানিয়েছিলেন, একটি ছবিতে কাজ করার সময় নাকি উপোস করার ফলে বাথরুমে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল শ্রীদেবী। ওই দুর্ঘটনার ফলেই দাঁত ভেঙে গিয়েছিল ওর।’