তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা….! সৌরভের চোখে চোখ রেখে এমনটাই বললেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী নন্দী। গ্ল্যামার দুনিয়ার চেনা মুখ সায়ন্তনী। মডেলিং-এর পাশাপাশি অভিনয়ও করেন নিয়মিত। সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই অন্ধভক্ত। রাখঢাক না রেখেই সৌরভের প্রতি ভালোবাসা উজার করে দিলেন তিনি। আরও পড়ুন-‘ভালো জিনিস সব বেহালা থেকেই হয়’, দাদাগিরির মঞ্চে পাড়ার মেয়েকে দেখে খুশি সৌরভ
জলপাইগুড়ির মেয়ে সায়ন্তনী। নিজের জেলারই প্রতিনিধিত্ব করলেন এই মঞ্চে। দাদাগিরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেকে সৌরভের এক নম্বর ফ্যান বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সায়ন্তনী। আর বললেন, ‘তোমার সারা পৃথিবীর ফ্যানেদের মধ্যে আমি এক নম্বর, আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে পারি। তুমি আমার প্রথম ক্রাশ। একদিন বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়েছিল,হৃদয় ভেঙে যায়! যখন পেপারে দেখলাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রেজিস্ট্রি বিয়ে সারলেন।’
ভাঙা মনের দুঃখ চেপেই চলছিল জীবন। তখনই সায়ন্তনীর জীবনে এন্ট্রি নেন ‘ডুপ্লিকেট সৌরভ’। কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে এক ছেলের সঙ্গে আলাপ জমে অভিনেত্রীর। তাঁকে অবিকল নাকি সৌরভের মতোই দেখতে। সায়ন্তনীর কথায়, ‘তোমার হাইটটা শুধু পায়নি, না হলে অবিকল তোমার মতো দেখতে। ভাবলাম, অরিজিনিন্যাল না হয়, ডুপ্লিকেট দিয়েই কাজ চালিয়ে নেব। আমার বন্ধুরা সকলে ওকে সৌরভ গাঙ্গুলিই বলতাম, আর আমিও ‘ডুপ্লিকেট ডোনাদি হয়ে যাই।’ একথা শুনে হাসি থামেনি সৌরভের।
ডোনা সশরীরে হাজির না থাকলেও এই গেম শো-এর প্রতি এপিসোডেই উঠে আসে 'দাদা'র ম্যাডাম-এর প্রসঙ্গ। বউকে নিয়ে একাধিক সিক্রেট সৌরভ ফাঁস করেছেন এই মঞ্চে। ২২ গজের বাইরেও অকুতোভয় ‘প্রেমিক’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে গোপনে প্রেম, বিয়েটাও করেছিলেন লুকিয়ে। সেখান থেকে দাম্পত্য় জীবনের ২৭ বছর পার করে ফেলেছেন সৌরভ-ডোনা।
মহারাজের কিশোর বয়সের প্রেম ডোনা, পরস্পরের প্রতিবেশী ছিলেন তাঁরা তবে বেহালার গাঙ্গুলি আর রায় পরিবারের মধ্যেকার সম্পর্ক একেবারেই মধুর ছিল না। পরিবারের কাছে লুকিয়ে ১৯৯৬ সালের অগস্ট মাসেই আইনি বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। এক বছর পর সবটা জানাজানি হতে সামাজিক রীতি মেনে চারহাত এক হয় দুজনের। দাম্পত্য জীবনের ২৭ বছর পার করে ফেলেছেন তাঁরা। সৌরভ-ডোনার একমাত্র সন্তান সানা। ব্রিটেনের নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের ডিগ্রি লাভ করেছে সে। আপতত বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কনস্যালট্যান্ট কোম্পানিতে কর্মরতা সানা গঙ্গোপাধ্যায়।