বেহালার মেয়ে সুজাতা বিশ্বাস এখন দেশের নামী উদ্যোক্তা। সুতির শাড়িকে বিশ্বমানের ফ্যাশনে পরিণত করেছেন সুজাতা। তাঁর ব্র্যান্ড সুতা (SuTa)-র নাম দেশজোড়া। এবার দাদাগিরির মঞ্চে বেহালার সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি তিনি। ঘরের মেয়ের সাফল্যের কাহিনিতে মুগ্ধ দাদা। সামনে এসেছে দাদাগিরি সিজন ১০-এর নতুন এপিসোডের প্রোমো। সেখানেই ঘরের মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মহারাজ। আরও পড়ুন-ফুটবল পায়ে সৌরভের দাদাগিরি! সঙ্গী ইস্টবেঙ্গলের তৃষা, দেখুন সেই ভিডিয়ো
বেহালাবাসীর গর্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে দাদাও বেহালাকে নিয়ে কম গর্বিত নন, তা বুঝিয়ে দিলেন। সুজাতার উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, ‘সব ভালো জিনিস বেহালা থেকেই হয়’। এই এপিসোডে একইসঙ্গে হাজির হবেন ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের অধিনায়ক তৃষা মল্লিক। তাঁর স্ট্রাগলের গল্পে অনুপ্রাণিত দাদা।
একটা সময় বল পায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’। মারাদোনা তথা আর্জেন্টিনার অন্ধভক্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সুযোগ পেলেই ফুটবল পায়ে নেন। এবার মহারাজের সেই ফুটবলপ্রীতির ছবি ধরা পড়বে দাদাগিরির মঞ্চে। তৃষাকে সামনে পেয়ে বল পায়ে কেরামতি দেখাবেন সৌরভ। অন্যদিকে তৃষা জানায়, তাঁর বাবা ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে বেশিদিন পেরে ওঠেননি। মেয়ে হয়ে ছেলের স্বপ্নটা পূরণ করছে তৃষা।
লাল-হলুদের মহিলা ব্রিগেডের অধিনায়ক তৃষা এখন ময়দান কাঁপাচ্ছেন। দত্তপুকুরের এই কন্যে এখন ভারতীয় মহিলা ফুটবলের অন্যতম পরিচিত নাম। আর্থিক অভাবকে জয় করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। পুরুষদের সঙ্গে ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন তৃষা। স্কুলের হয়ে ফুটবলে মাঠ কাঁপানোর পর মা তাঁকে পেশাদারভাবে ফুটবল খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন। ক্যাপ্টেন হওয়ার পর তৃষার হাত ধরে ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী কাপ জিতেছে লাল-হলুদ শিবির। উল্কা গতিতেই তৃষার উত্থান কলকাতার ময়দানে।
দাদাগিরির আসন্ন এপিসোডে তৃষার সঙ্গেই একটু ফুটবল প্র্যাক্টিস সেরে নিত দেখা যাবে ‘স্ট্রাইকার' সৌরভকে। কিছুদিন আগেই দাদা নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছোট্ট ভিডিয়ো শেয়ার করেন। সেখানেই দেখা গেল তৃষা মল্লিকের সঙ্গে ফুটবল খেলছেন তিনি। ভিডিয়োর বিবরণীতে সৌরভ লেখেন, ‘নিজের ভিতরের স্ট্রাইকারকে বের করে আনছি’। সৌরভকে রীতিমতো ফুটবল নাচাতে দেখা গেল পেশাদার ভঙ্গিতে। এই মাঠের পুরোনো খিলাড়ি তিনি তা বুঝিয়ে দিলেন ভালোভাবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রূপম ইসলামের ৫০তম জন্মদিনের আসরে বউ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজির ছিলেন সৌরভ। রূপমের তারকখচিত বার্থ ডে ব্যাশের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন মহারাজ।