এতদিন বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা সমর্থকদের 'লড়াই' চলত। গত বুধবার থেকে সেই 'লড়াই' অন্য মোড় নিয়েছে। ওই ভারতীয় একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে রোহিতের নাম, এর জেরে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর ক্ষুব্ধ বিরাট ভক্তরা। এই জলঘোলার মাঝেই কেউ কেউ অতীত প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। কেমনভাবে চ্যাপেল জমানায় অধিনায়ক সৌরভকে দল থেকে ‘ঘাড় ধাক্কা’ দিয়ে বার করে দেওয়া হয়েছিল। সৌরভ যদিও অদম্য জেদ নিয়ে কামব্যাক করেছিলেন। সেই অতীতের স্মৃতিই কাকতালীয়ভাবে চলতি সপ্তাহে দাদাগিরির মঞ্চে শোনাবেন সৌরভ।
এই সপ্তাহে দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হচ্ছে টিম কড়ি খেলা। আর সেখানেই চ্যাপেল জমানার সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে নেবেন সৌরভ। মঞ্চে কড়ি খেলার হিরো আনন্দ ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন দাদা। ২ মিনিটে ৪০ টা পুস আপ দিতে হবে, দাদার কথা মেনেও নেয় সৌরভের অন্ধ ভক্ত আনন্দ। কথা প্রসঙ্গে দাদাগিরির সঞ্চালক বলেন, ‘আমাকে যখন টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল খুব রাগ হত তখন। একদিন বিকালে আমি ইডেনে দৌড়াতে এসেছি, ২১টা ল্যাপ দৌড়েছিলাম ওইদিন। অ্যাবস এক্সারসাইজ করছি দিনে ৩৫০টা’। আর সেইসময়ই পর্দায় ভেসে উঠে সৌরভের ওই কড়া ট্রেনিংয়ের সব মুহূর্তগুলো, আনন্দ হাসি মুখে জানায়- ‘তুমি আমার কাছে আবেগ’।
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অধিনায়কত্ব ছাড়বার ঘোষণা করেছিলেন বিরাট। এরপর থেকেই সম্ভবানা তৈরি হয়েছিল হয়ত সাদা বলের ক্রিকেট মাঠে বিরাটকে আর ক্যাপ্টেন হিসাবে দেখা যাবে না। সেই জল্পনাই সত্যি প্রমাণ হয়েছে। সৌরভ যদিও জানিয়েছেন কোহলিকে তাঁরা টি-২০ ক্যাপ্টেন্সি না ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তবে কথা শোনেননি বিরাট। সীমিত ওভারের দুই ফর্ম্যাটে দুই ক্যাপ্টেন রাখতে চায় না বোর্ড তাই রোহিতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০০৫ সালে টানা বাজে ফর্মের জেরে সৌরভকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে ছিল তত্কালীন ভারতীয় কোচ গ্রেপ চ্যাপেলের বিস্ফোরক ইমেল। চ্যাপেল দাবি করেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য নন সৌরভ। তাঁর আচরণে দলের ক্ষতি হচ্ছে। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। তবে চেনা মেজাজে রাজকীয় কামব্যাক করেছিলেন মহারাজ।