শনিবার সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাল ছিল অভিনেতা পার্ল ভি পুরির গ্রেপ্তারের খবরে। শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ। তারপর শনিবার পার্লকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিনি গনধর্ষণে সামিল হয়েছেন, তাও আবার এক নাবালিকার। আপাতত পার্লের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নং ধারায় ও পসকো আইন অনুসারে মামলা চালানো হয়েছে।
পার্ল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরা। করিশ্মা তান্না, অনিতা হাসনান্দানি, একতা কাপুর, নিয়া শর্মা, ক্রিস্টাল ডিসুজা-সহ একাধিক তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন পার্লের সপক্ষে। তবে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে একতা লিখেছিলেন, ‘নাবালিকার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে জানিয়েছে পার্ল নির্দোষ। পার্লকে ফাঁসানো হয়েছে।’ একতার এই স্টেটমেন্টের বিরুদ্ধে মুখ খুলল ভাসাইয়ের DCP সঞ্জয়কুমার পাটিল। তিনি প্রেস কনফারেন্সে জানান, ‘না। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগ মিথ্যে নয়। তাঁর নাম তদন্তে উঠে এসেছে। বেশ কিছু প্রমাণও আমাদের হাতে আছে। আর সেকারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছএ। সমস্ত প্রমাণ সময়মতো আদালতে পেশ করা হবে।’
পার্ল গ্রেফতার হওয়ার পর একতা তাঁর দীর্ঘ্য বার্তায় লিখেছিলেন, ‘'আমি কী একজন শিশুর ধর্ষণকারীকে সমর্থন করব? অথবা যে কোনও শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্তর পাশে দাঁড়াব? কিন্তু গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত আমি যে সমস্ত ঘটনার সাক্ষী থাকলাম, তা মনুষ্যত্বকে কোথায় নামিয়ে এনেছে আমি জানি না! …নাবালিকার মায়ের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলার পর আমি সবাইকে বলছি, তিনি আমাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন পার্লের এই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ওঁর স্বামী গল্প ফাঁদার চেষ্টা করছে যাতে নিজের কাছে মেয়েটিকে রাখতে পারেন এবং প্রমাণ করতে পারেন একজন ওয়ার্কিং মাদার নিজের বাচ্চার খেয়াল ঠিকমতো রাখতে পারে না।’
আপাতত ভাসাই লোকাল কোর্টের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হাফাজতে আছেন পার্ল। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ওয়াসির ফিল্ম সেটে এই ঘটনা ঘটেছএ বলে দাবি করা হয়েছে।