দিনকয়েক ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন দেবশ্রী রায়। কারণ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকার বকশিসপুরে একদল মিউজিশান ও সাউন্ড আর্টিস্টকে আটকে রাখার ঘটনা। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এই শিল্পীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বাদ্যযন্ত্র এবং সাউন্ডের নানান সামগ্রী। খবর, অনুষ্ঠান ভেনুতে হাজির হননি দেবশ্রী তাই এই ঘটনা। এবার গোটা ঘটনায় মুখ খুললেন দেবশ্রী। সাংবাদিক সম্মেলনে রাখলেন নিজের পক্ষ।
কেন দেবশ্রী সেদিনের অনুষ্ঠানে পৌঁছননি তা নিয়ে অনেকেই আলোচনা করেছেন। প্রশ্ন উঠছিল, কেন এত বড় ঘটনায় চুপ অভিনেত্রী। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ‘সর্বজয়া’ অভিনেত্রী জানান, ‘সেদিন আমি কাঁথি পর্যন্ত গিয়েছিলাম। যার ভরসায় সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছি সেই রহমান আমায় বলে, দিদি গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যাও। পরে শুনলাম ওখানে কী কী ঘটছে। আমার বহু অনুষ্ঠান যেই তোচনদার হাত ধরে তাঁকে ফোন করে এরপর সবটা বললাম। তোচনদার কথায় মদনদাকে ফোন করি। মদনদা সবটা শুনে অবাক হয়। তবে মদনদা বলার পরেও ওরা সবাইকে ছাড়েনি। কী করে এমন হয়!’
গোটা ঘটনায় তাপস দাস নামে এক ব্যক্তির উপর আঙুল তোলেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘ও সর্বজয়া সিরিয়ালের সময় আমায় এসে বলেছিল তুমি তো এরকম অনেক অনুষ্ঠান করেছ। আমার মাথার উপরে হাত রাখো। তখন রাজি হওয়াটাই বোধহয় ভুল ছিল।’
সঙ্গে দেবশ্রী জানান, তাপসের কারণে এর আগেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে। পুলিশ পারমিশন ছাড়া অনুষ্ঠান অ্যারেঞ্জ করেছিলেন তাপস বলে অভিযোগ তুললেন। দাবি কোনওরকম প্রোটেকশন ছাড়া তাঁকে এর আগেও মানুষের মাঝে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, ‘তাপস নামের ওই ছেলেটা আমার নামে যা নয় তাই বলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চমদা, কিশোর কুমার, আরতি মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্রের মতো তাবড় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছি। এরকম কখনও হয়নি। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমার নামে অনেক কথা বলছেন। যেগুলো দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। কেউ কেউ বলছেন আমি টাকা নিয়ে কাজ করিনি। আমি তো মিউজিশিয়ান ভাইদের চিনিই না। তাও নিজের তরফ থেকে যেটুকু করা সম্ভব করেছিলাম। ভেবেছিলাম চুপ থাকব। কিন্তু আর চুপ থাকতে পারলাম না। এরপর থেকে কোনও অনুষ্ঠানে পুলিশ আছে কি না আগে দেখব আমি। যা শিক্ষা হল, বিশ্বাস করে ঠকলাম!’
প্রসঙ্গত, ইমন চক্রবর্তী, লোপামুদ্রা মিত্র, জয় সরকাররা এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকার পুলিশের হস্তক্ষেপে মিউজিশিয়ানরা তাঁদের দামি দামি বাদ্যযন্ত্র ফেরত পান প্রায় দিন ছয় পর।