লাল মনোকিনি পড়ে পাহাড়ি ঝর্নার জল গায়ে মাখছেন এই সুন্দরী। তাঁর তন্বী-ছিপছিপে শরীর টেক্কা দেবে বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের। ছোটপর্দায় শাড়ি আর সালোয়ারে পাওয়া গেলেও বাস্তব জীবনে একদম ‘বোল্ড আর বিউটিফুল’ তিনি। ভাঙা প্রেমের যন্ত্রণা ভুলে জীবনে একা বাঁচার মন্ত্র ভালোভাবেই জানা তাঁর।
চিনতে পারছেন এই সুন্দরীকে? দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। হ্যাঁ, 'সাহেবের চিঠি'-র চিঠি এমন সাহসী অবতারে নিজেকে মেলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইন্দোনেশিয়া সফরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বালি-র জনপ্রিয় কান্টো ল্যাম্পো (Kanto Lampo) জলপ্রপাতের সামনে দাঁড়িয়ে এই ভিডিয়োটি শ্যুট করেছন নায়িকা। কালো পাহাড় বেয়ে নেমে আসছে জলধারা, তাতেই নিজেকে ভেজালেন দেবচন্দ্রিমা, প্রেক্ষাপটে চলছে আমির খানের ফানহা ছবির হিট গানের জনপ্রিয় সংলাপ-'হ্যায় সিনেমে যো কয়দ দরিয়া ওহ ছুট যায়েগা…'।
‘চারু’র এই রূপ থেকে হাঁ তাঁর সহকর্মী-বন্ধুরা। অদ্রিজা রায় ও গীত রায় কমেন্ট বক্সে লিখেছেন- ‘উফ!’ 'রাঙা বউ' শ্রুতি দাস একাধিক আগুনের ইমোজি জুড় দিয়েছেন। ফ্যানেরা তো ক্লিনবোল্ড দেবচন্দ্রিমাকে দেখে। একজন লিখেছেন, ‘এই প্রথমবার বাঙালি অভিনেত্রীকে এত হট লাগছে।’
তবে নিন্দকরা কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। এই মুহূর্তে দেবচন্দ্রিমার হাতে কোনও সিরিয়াল নেই। একটি হিন্দি সিরিয়ালের কাজ প্রায় চূড়ান্ত হয়েও ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় হাতছাড়া হয়। তা সত্ত্বেও কোথা থেকে এত টাকা পাচ্ছেন তিনি? প্রশ্ন তাদের। কিছুদিন আগেই ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে গোয়া ট্রিপে গিয়েছিলেন দেবচন্দ্রিমা, সেই রেশ কাটতে না কাটতেই পৌঁছে গিয়েছেন বালি।
বালি-ট্রিপের একের পর এক ছবি ইনস্টায় শেয়ার করে চলেছেন তিনি। যা দেখলে চোখ আটকাবে নায়িকার স্টাইল স্টেটমেন্টে। রুদ্র সাহার পোশাকে বেশকিছু ফটোশ্যুট করেছেন দেবচন্দ্রিমা।
‘সাঁঝের বাতি’, ‘সাহেবের চিঠি’র মতো সিরিয়ালের সুবাদেই দেবচন্দ্রিমার জনপ্রিয়তা।‘হোমস্টে মার্ডার’-এর সঙ্গে ওয়েব সিরিজের জগতেও পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তবে আপতত দেবচন্দ্রিমার সব লক্ষ্য বড়পর্দাকে ঘিরে। শীঘ্রই জিৎ-এর ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। বুমেরাং ছবিতে রুক্মিণীর পাশাপাশি কাজ করেছেন দেবচন্দ্রিমাও।