দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির কাছে একটা অন্যরকম আবেগ। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, বাঙালিরা চান দুর্গাপুজোটা অন্তত বাঙালিয়ানা বজায় রেখে সেলিব্রেট করতে। তাই কলকাতা ছাড়াও মুম্বই, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাঙালিদের হাত ধরেই হয় একাধিক দুর্গাপুজো। বিশেষত প্রত্যেক বছরই আলোচনায় উঠে আসে মুম্বইতে তারকাদের দুর্গাপুজো। এবছর পুজোয় কী করছেন মুম্বইয়ের তারকারা? নিজেদের দুর্গাপুজোর পরিকল্পনা জানালেন দেবিনা মুখোপাধ্যায়, তনিশা মুখোপাধ্যায়, টিনা দত্তরা।
দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়
দুর্গাপুজো নিয়ে দেবিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্গাপূজা আমার কাছে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রাণ। আমি স্বভাবগতভাবে আধ্যাত্মিক এবং আমি সবসময়ই ‘মা’-এর সঙ্গে আমার যোগ অনুভব করি। পুজোয় সকলকে নতুন উপহার দিতে হবে। পরিবারের জন্য পূজা কেনাকাটা করতে হবে। আমার কাছে দুর্গা-অষ্টমীর ভোগের গুরুত্ব অপরিসীম পুষ্পাঞ্জলিও তাই। ‘সিন্দুর খেলা’ অনুষ্ঠানটিও বাঙালি বিবাহিত মহিলাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আমি আর গুরমিত দুই মেয়েকে নিয়ে ছুটি কাটাতে বিদেশে ছিলাম। দুর্গাপুজো তে মুম্বইতে থাকব। জুহুতে একটি পূজা হয় এবং আমাদের লোখান্ডওয়ালা এবং ভারসোভাতেও পূজাও হয়। পুজোয় মায়ের হাতে রান্না করা খাবার খাব। নিকটবর্তী প্যান্ডেলগুলিতেও ঘুরে বেড়াব৷ বিভিন্ন প্যান্ডেলে কিছু সাংস্কৃতিক খেলার আয়োজন করা হয়, সম্ভব হলে সেগুলোতেও যোগ দেব। এই সময়টাতে পুজো নিয়েই থাকতে চাই, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। আর শুভানুধ্যায়ীদের জন্য 'মা’ দুর্গার আশীর্বাদ চাই।
টিনা দত্ত
টিনা বলেন, ‘আমার কাছে দুর্গাপূজা মানে উদযাপন, আনন্দ, আর খাওাদাওয়া। এই সময়টাতে আমি সত্যিই কলকাতাকে মিস করি, ’নস্টালজিয়া'য় ভেসে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। এই সময়টাতে সকাল সকাল ঘুম ভাঙে, বাঙালি চিরাচরিত যে খাবারগুলি কলকাতার বাড়িতে যেমনটা তৈরি হত, তেমনটাই হয়। মা এখানে (মুম্বইতে) থাকলে, এটা আমার জন্য একটি ট্রিট! সৌভাগ্যক্রমে এই বছর, তিনি আমার কাছে আছেন। এখানেই আমরা কিছু প্যান্ডেলে যাব। তবে কতগুলো প্যান্ডেলে ঘুরতে পারব, সেটা অবশ্য এখনই বলতে পারছি না। আমরা বাড়িতেও পুজো কর, বন্ধুদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাই, এটা খুব মজার। মা ইতিমধ্যে উদযাপনের জন্য মেনু প্রস্তুত করা শুরু করেছেন। কোন দিন কী রান্না হবে, সেসব ঠিক করছেন। খুব আনন্দে আছি, রান্নাঘরে আমিও মাকে সাহায্য করব। মায়ের বানানো প্রিয় গুরের সন্দেশ, পায়েশ তৈরি হবে।
তানিশা মুখোপাধ্যায়
তানিশা বলেন, ‘দুর্গাপূজা আমার এবং আমার পরিবারের কাছে অনেক অর্থ বহন করে। কারণ এই পুজো আমার ঠাকুরমা শুরু করেছিলেন। এই সময়টাতে পুরো পরিবারের একত্রিত হয়। পুরো ’মুখার্জি' পরিবার পুজোতে থাকেন। দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য আমার দায়িত্ব হল মা দুর্গার জন্য সমস্ত সাজসজ্জা, প্যান্ডেলের পরিকল্পনা করা। এই সময়টা পরিবারের মেয়েরা কে কী পরবেন, কে কীভাবে সাজবেন, এটা নিয়ে আমি ব্যস্ত থাকি। পুজোর সময় অতিথিদের ভোগ পরিবেশন করি। শুধু আমি নয়, আমার এবং তুই ভাইবোনেরাও এই দায়িত্বে থাকেন। ধুনুচি নাচ আমাকে গত বছরা রানি শিখিয়ে দিয়েছিল। ভোগের মধ্যে দিনে বেগুন ভজা, পায়েশ, আমি খুব ভালোবাসি।