এর আগে অনুরাগের ছোঁয়ার সূর্য অর্থাৎ অভিনেতা দিব্যজ্যোতির সঙ্গে অনন্যার বন্ধুত্ব নিয়ে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। তবে প্রেমের জল্পনা উড়িয়েছিলেন নায়ক। এবার দিদির মঞ্চে বন্ধু সিদ্ধার্থের হাত ধরে হাজির অনন্যা অর্থাৎ আলোর কোলের মেঘা। একদম রেড হট অবতারে দেখা মিলল তাঁর। আরও পড়ুন-'বন্ধুর বউ চোর', ‘ঠগবাজ’ কটাক্ষ শোয়েবকে! বরকে বুকে আগলে প্রশংসা সানার, থামল না ট্রোলিং
আলোর কোল-তে নেগেটিভ লিড করছেন অনন্যা। পুপুলের বাবাকে যেন-তেন প্রকারেণ বিয়ে করতে মরিয়া অনন্যা। মেঘাকে দুচোক্ষেও সহ্য করতে পারে না পুপুল। কিন্তু বাস্তবে অনন্যা কিন্তু ভারী মিষ্টি মেয়ে। রচনার মঞ্চে অভিনেতা-বন্ধুকে নিয়ে হাজির হতেই দিদির প্রশ্নবাণেবিদ্ধ অনন্যা। রচনা জানতে চান, সিদ্ধার্থ কি শুধু বন্ধু? চটপট অনন্যার উত্তর, ‘হ্যাঁ, আমরা খুব ভালো বন্ধু’। তবে গ্ল্যামার জগতে ‘খুব ভালো বন্ধু’ শব্দবন্ধটা শুনতে বেশ অভ্যস্ত সকলে।
আদরের বোন,জয় জগন্নাথ, প্রেমের কাহিনি-র মতো প্রোজেক্টের অংশ থেকেছেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ। তিন বছর ধরে অনন্যার সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব সিদ্ধার্থের।
তারকাদের হাঁড়ির খবর জানতে ওস্তাদ রচনা। এদিন তিনি, সিদ্ধার্থর কাছে অনন্যার সিক্রেট জানতে চান। এতে সিদ্ধার্থ বলেন, বন্ধুত্বের শুরুতে অনন্যার কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন- ‘বাড়িতে তুমি কী খাও’। এতে জবাব মেলে, নিজে রান্না করেই অনন্যা খান। এতে একদিন অনন্যার হাতের রান্না খাওয়ার আবদার করেছিলেন সিদ্ধার্থ। তাতে অবাক করা উত্তর পান। অনন্যা জানান, তিনি সবকিছু সিদ্ধ খান। ভার আর পটল সিদ্ধ খেয়েই তাঁর দিন কেটে যায়। এই কথা অবাক করেছিল সিদ্ধার্থকে। খানিক অভিমানের সুরেই বলেন, ‘ওর হাতের রান্না আর খাওয়া হবে না, কারণ ও তো রান্না করতেই পারে না’।
দমে যাওয়ার পাত্রী নন অনন্যা। রচনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তুমি এত সুন্দর করে নিজেকে মেনটেন কর, এত গ্ল্যামার…’। অনন্যার মুখের কথা শেষ হওয়ার আগেই রচনা বলেন, ‘সেটা আর যাই হোক পটল সিদ্ধ খেয়ে নয়’। নিজের এই অভ্যেসের কথা মেনে নিয়ে অনন্যা বলেন, পারলে সবকিছু সিদ্ধ করে, মিক্স করে খেয়ে নেন তিনি।
অন্যদিকে মেঘার চরিত্র প্রসঙ্গ বলেন, ‘খুব ইন্টারেস্টিং, প্রথমবার করছি নেগেটিভ চরিত্র।’ শান্তিপুরে বড় হওয়া অনন্যার। পড়াশোনা করতে করতেই মডেলিং-এর সুযোগ আসে। সেখান থেকেই অভিনয়ে আসা।