কিংবদন্তি শিল্পী দিলীপ কুমারের মৃত্যু শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি প্রিয়জনেরা। তার মাঝেই ফের মৃত্যুশোক দিলীপ কুমারের পরিবারে। দীর্ঘ রোগভোগের পর চলে গেলেন ‘ট্র্যাজেডি কিং' দিলীপ কুমারের বোন সাইদা খান। রবিবার, ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সাইদা খান। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বলিউডে।
পরিবার সূত্রে খবর, আগামিকাল (পড়ুন মঙ্গলবার), ২৬শে সেপ্টেম্বর বান্দ্রার মেহবুব স্টুডিও-তে সাইদা খানের আত্মার শান্তি কামনায় এক প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বলিউডের জনপ্রিয় প্রযোজক মেহবুব খানের বউমা ছিলেন সাঈদা খান। তাঁর নামেই জনপ্রিয় মেহবুব স্টুডিও। ইকবাল খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল দিলীপ কুমারের বোন। ২০১৮ সালেই স্বামীকে হারান সাঈদা। ইকবাল ও সাইদার দুই সন্তান, ইলহাম ও সাকিব। দুজনেই শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত। সাকিব প্রযোজক, অন্যদিকে ইলকাম লেখিকা। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেমেয়ে সারাক্ষণ আগলে রাখত সাইদাকে।
দাদা-স্বামী সকলেই ফিল্ম জগতের মানুষ ছিলেন। তবে লাইমলাইট থেকে চিরকাল দূরেই থেকেছেন সাইদা খান। কিন্তু বিরাট মনের মানুষ ছিলেন তিনি। মেহবুব স্টুডিওর ট্রাস্টি বোর্ডের এই সদস্যা চিরকাল সেখানকার কর্মীদের সবরকম সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবনা-চিন্তা করতেন। ২০১৪ সালে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছিলেন প্রয়াত সাইদা খান।
ননদের মৃত্যু নিয়ে এখনও চুপ সায়রা বানু। ২০২১ সালের ৭ই জুলাই হিন্দুজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় দিলীপ কুমারের। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানান সমস্য়ায় ভুগছিলেন তিনি, শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যানসার।
চলতি বছর দিলীপ কুমারের মৃত্যুদিনেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টগ্রামে আত্মপ্রকাশ করেন সায়রা বানু। দিলীপ কুমারের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘আজ এই পোস্ট করছি তাঁদের জন্য যাঁদের ভালোবাসা দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পরও আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রিয় বন্ধুরা যাঁরা আমার কোহিনূর, দিলীপ কুমার সাহেবের প্রতি তাঁদের চিরস্থায়ী আবেগ, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে আজ অবধি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ৭ই জুলাই সকাল ৭টায় উনি চিরনিদ্রায় ডুব দিয়েছিলেন।’ সায়রা বানু আরও জানান, ‘আজ অবধি, আমি অনুভব করি যে উনি আমার সঙ্গেই রয়েছেন এবং যাই হোক না কেন আমরা এখনও জীবনের পথে একসঙ্গে হাঁটব, হাতে হাত রেখে, আমাদের চিন্তায় এক হয়ে সময়ের শেষ অবধি।’