গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জের একটি কথা নিয়েই শুরু হয়েছিল তরজা। এবার তার উত্তর দিলেন গায়ক নিজেই। সম্প্রতি কোচেল্লা মিউজিক ফেস্টিভালে একটি গানের আগে দু-তিনটি কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সেই কথাকে বিকৃত করেই সমাজ মাধ্যমে তরজা শুরু হয়। তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সাম্প্রতিক খলিস্তানপন্থীদের অশান্তির ঘটনাও। তবে তাঁর কথাকে যে বিকৃত করে এসব অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে, সেই কথা নয়া টুইটে স্পষ্ট করে দেন দিলজিৎ। কী ঘটেছিল ওই অনুষ্ঠানে? সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিউজিক ফেস্টিভালের সন্ধ্যায় গান গাইতে গাইতে হঠাৎই একজনকেশ্রোতাদের মধ্যে দেখেন দিলজিৎ। তিনি হাতে ভারতের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে দেখেই একটি মন্তব্য করেন দিলজিৎ। বলেন,‘এটা আমার পাঞ্জাবি ভাইবোনের জন্য। ওই মেয়েটি আমার দেশের পতাকা ধরে আছেন, তাঁর জন্য। নেতিবাচক মনোভাব দূরে রাখুন। গান সবার জন্য।'
এই কথাকেই বিকৃত করে অন্যভাবে পেশ করা হয় সমাজমাধ্যমে। বলা হয়, ‘ভারতের পতাকা নাড়ালে দিলজিৎ দোসাঞ্জ তাঁর আপত্তি জানান। তাহলে বিদেশের মাটিতে তিনি কোনও গান গাইতে গেলে তখন কোন দেশের পাসপোর্ট সঙ্গে রাখেন? রিপাবলিক অব খলিস্তান?’ স্পষ্টতই এই কথার মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি খলিস্তানপন্থীদের সাম্প্রতিক অশান্তির খোঁচাও ছিল। তবে এতেই শেষ হয়নি কথা। একইসঙ্গে বলা হয়,‘এমন ভারতীয়দের দেখলেই লজ্জা হয়, যাঁরা এইরকম দুই পয়সার গায়কগুলির গান শোনে।’
এরপরেই আসরে নামতে বাধ্য হন দিলজিৎ। তাঁর টুইটারে লেখেন, এসব ভুল খবর ছড়ানো বন্ধ করুন! আমি বলেছি, এটা আমার দেশের পতাকা। এটা আমার দেশের জন্য অর্থাৎ আমার এই পারফরম্যান্স আমার দেশের জন্য। পাঞ্জাবি ভাষা না বুঝলে তা গুগল করে নাও! কোচেল্লা একটা বড় মিউজিক ফেস্টিভাল। এখানে সারা বিশ্ব থেকে শ্রোতা আসেন। তাই আমি বলেছি, গান সবার জন্য। এরও যদি মানে না বোঝো, তো গুগল করে নাও! এই পোস্ট করার পরেই অবশ্য অনুরাগীদের থেকে বিপুল পরিমাণে সমর্থন পান দিলজিৎ। এক অনুরাগী বলেন,‘নিন্দুকদের কথায় কান দেবেন না। আমরা আপনার পাশে আছি।’ আরেকজন লেখেন,‘আপনি ঠিকই বলেছেন, গান সবার জন্য। যারা এটা বোঝে, তাদের বুঝিয়ে লাভ নেই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup