একজনের বয়স ৭৮, আরেকজনের বয়স ২৬। তবে তাতে কী! ভালোবাসা বয়সের বাধা মানে না। আর তাই হয়ত আজ প্রায় দু'দশক ধরে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন দোলন-দীপঙ্কর। দীর্ঘ সময় লিভ ইন সম্পর্কে থাকার পর ২০২০ সালে অবশেষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি।
বয়সে দীপঙ্কর দের বড় মেয়ের থেকেও ছোট দোলন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা যখন সহবাস করা শুরু করেন তখন অনেকেই নানান কথা শুনিয়েছিলেন। কটাক্ষও করেছিলেন তাঁদের এই সম্পর্ককে। তবে তাঁদের সেসব কথাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও একসঙ্গেই রয়েছেন দীপঙ্কর-দোলন। দিব্যি কাটাচ্ছেন দাম্পত্য জীবন। তবে এখন শোনা যাচ্ছে সেই দীপঙ্করই নাকি দোলনকে খোঁটা দেন।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। সম্প্রতি এমনই ঘটনার কথা দোলন নিজেই দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে শেয়ার করেছেন। দোলন রায় জানান, তাঁদের যা কাজ, তাতে ছুটি পাওয়া খুবই মুশকিল হয়। তবে তারই মাঝে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে স্বামী দীপঙ্করের সঙ্গে দোলন রায় গিয়েছিলেন রাজস্থানে বেড়াতে। সঙ্গে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর দে-ভাই। তাঁরা গাড়ি করে যাচ্ছিলেন, সেসময়ই প্রযোজনা সংস্থার ফোন আসে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়, ‘তোমাকে যদি আগামীকালের টিকিট পাঠিয়ে দি…’। দোলনের পাশে তখন বসে ছিলেন দীপঙ্কর দে। দোলন অস্বস্তি বোধ করছিলেন। দীপঙ্কর বলেন, তুমি কি সুচিত্রা সেন যে তোমাকে ছাড়া শ্যুটিং হবে না!
প্রসঙ্গত, দোলন রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ১৯৯৭ সালে বিদেশে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কাছাকাছি আসেন তাঁরা। দোলনের কথায়, ‘বিদেশেই ১৯৯৭ সালে এক জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে ও (দীপঙ্কর দে) আমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। খুব গোপনে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। তখনই ও আমায় জিতে নিয়েছিল। এরপর দেশে ফিরে সারদা মায়ের জন্মতিথির দিন আমায় নিয়ে মঠে যায়। ও (দীপঙ্কর) যেহেতু রামকৃষ্ণ দেবের দীক্ষিত তাই। সেখানেও ও আবার মহারাজের সামনে আমায় সিঁদুর পরায়। কিন্তু আমরা এই কথা কখনওই প্রকাশ্যে আনিনি।’
এদিকে কেন দোলনের সিঁথিতে ডিভোর্সের আগেই সিঁদুর পরিয়েছিলেন দীপঙ্কর দে? এপ্রশ্নে দোলন বলেছিলেন, 'ওর তো ডিভোর্স হচ্ছিল না। অনেক টাকা চেয়েছিল। ওর কাছে অত টাকা ছিল না। সেটা জোগাড় করতে হতো। তারপর আমাদের একটা ফ্ল্যাট বিক্রি করে খোরপোষের টাকা জোগাড় করে ও। অনেক বড় অ্যামাউন্ট ছিল সেটা।'