পাত্রের বয়স ৫৩, পাত্রীর বয়স মাত্র ২৭ (তেমটাই জানা যায়)! পাত্রর আগে দু-বার বিয়ে ভেঙেছে, রয়েছে এক পুত্র সন্তান। কিন্তু প্রেমের কাছে এইসবই গৌণ, ভালোবাসাটাই আসল। প্রেম দিসবের দিন তাই ভালোবাসার মানুষকে চিরতরে আপন করে নিয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। ১৪ ফেব্রুয়ারি আইন মেয়ে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
এদিকে দ্বিতীয় বউ পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চনের সংসার আগেই ভেঙেছিল। এরপর ১০ই জানুয়ারি আইনত বিছিন্ন হয়েছেন কাঞ্চন ও পিঙ্কি। একটা সম্পর্ক থেকে আইনত বিচ্ছেদের ১ মাস কাটতে না কাটতে আরও একটা বিয়ে করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। সম্পর্কে কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী আবার সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের নাতনি। তাই প্রাক্তন নাত-জামাই-এর আরেকটা বিয়ে নিয়ে কী বলছেন সাবিত্রী?
নাতনি পিঙ্কি বরাবরই সাবিত্রীর ভীষণ কাছের। এর আগেও জীবনের নানান সমস্যা থেকে নাতনিকে আগলে রেখেছিলেন সাবিত্রী। এবারও তার অন্যথা হল না। প্রসঙ্গত, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়রা ১০ বোন। প্রত্যেকেই বিয়ে করেছেন, দাঁড়িয়ে থেকে সব মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন সাবিত্রীর বাবা, শুধু বিয়ে করেননি তিনিই। এদিকে কাঞ্চনের থেকে আলাদা হওয়ার পর সাবিত্রীর কাছেই ছেলেকে নিয়ে রয়েছেন পিঙ্কি।
আরও পড়ুন-পিঙ্কি, শ্রীময়ী কে তো চেনেন! কাঞ্চনের প্রথম স্ত্রীও পরিচিত অভিনেত্রী, চেনেন নাকি?
এদিকে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের কথা উঠতেই সাবিত্রী বলেন, ‘আজ আমার গলার অবস্থা ভালো নয়। তাই বেশি কথা বলতে পারছি না। আমি এই বিয়ের খবর বিশেষ শুনিও নি। তবে বিয়ে নিয়ে আমি বলতে পারি, আমার এই বিয়েতে মতও নেই, অমতও নেই।’ তবে নাতনি পিঙ্কির সঙ্গে কাঞ্চনের সম্পর্ক ভাঙা প্রসঙ্গে সাবিত্রী বলেন, ‘সম্পর্ক ভাঙা কি ভালো? যেকোনও সম্পর্ক ভাঙলেই খারাপ লাগে।’ সাবিত্রী জানান, তাঁর নাতনির মন ভীষণই খারাপ। লোকজন নানান কথা বলছেন। যার কোনও প্রয়োজন নেই।
সাবিত্রী বলেন, ‘একসময় আমাকে নিয়েও রটেছিল, আমি নাকি উত্তমকুমারের সঙ্গে থাকি. অথচ সবই মিথ্যে।’
এদিকে কাঞ্চনের বিয়ে নিয়ে পিঙ্কি বলেছেন, 'যা হয় ভালোর জন্যই হয়। একজন মা কখনও দুর্বল হয় না। সব পরিস্থিতি সামলাতে পারে তারা। আমার ছেলের বাবার বিয়ে ওর উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। কারণ ওর মায়ের নাম পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।'
শোনা যাচ্ছে, ৬০ লক্ষ টাকার বিনিয়মে ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছে কাঞ্চন-পিঙ্কির। যদিও সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দু-পক্ষেরই। ডিভোর্স নিয়ে পিঙ্কির প্রতিক্রিয়া, ‘হ্যাঁ। আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। কাজের মধ্যে ডুবে আছি। ভাল আছি।’ এই মুহূর্তে পিঙ্কিকে ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ এবং ‘কনস্টেবল মঞ্জু’ সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে, নিজের মতো করে জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি।