সৌরভ আর ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় কৈশোরবেলার প্রেম নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই বাঙালিদের। দাদাগিরিতে মাঝেমধ্যে নিজের ছেলেবেলার কথা ফাঁস করে ফেলেন দাদা। অনেকেই জানেন, বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। বাড়ির বড়দের লুকিয়ে রেজিস্ট্রি। আর তারপর খেলতে চলে যাওয়া। দাদার বিয়ে নিয়ে গল্প করে সব প্রজন্মই।
সম্প্রতি দাদার সঙ্গে প্রেম নিয়ে অকপটে কথা বললেন ডোনা। আজতকবাংলাকে জানালেন, কীভাবে ছোটবেলা থেকেই তৈরি হয়েছিল একে-অপরের প্রতি ভালোলাগা। তিনি জানান, ‘একদম পাশের বাড়ি তো। তখন থেকেই আলাদ। দেখতাম ছোট সুন্দর একটা বাচ্চা একটা ছেলে ক্রিকেট খেলছে। আমি বারান্দায় এসে ওকে দেখতাম। ছোটবেলা থেকে ভালোলাগা ছিল। একটু একটু কথা হত। ওই পর্যন্তই। ওই যখন থেকে হয় না, এবার একটা বয়ফ্রেন্ড থাকলে হয়। তখন থেকে হয়তো প্রেমটা শুরু হয়েছিল। কোনও বন্ধু হয়তো বলেছিল, ভালোলাগে যখন গিয়ে বল…’
আরও পড়ুন: ‘বিয়ে হল না, এদিকে বাচ্চা…’, বনির ‘হবু সন্তান’ আসা নিয়ে কথা বললেন কৌশানি
লুকিয়ে প্রেমপত্র লেখার কথাও স্বীকার করে নিলেন। জানালেন গব্বর নামে সৌরভের এক ভাইয়ের হাত দিয়ে হত প্রেমপত্র চালাচালি। প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে ডোনা বললেন, ‘প্রথম দেখা আমার মনে আছে আমাকে গাড়িতে তুলে টিউশনে ড্রপ করে দিয়েছিল। আমি ঠিকানাটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। চেতলায় ছিল ওটা। আর দুজনে খেতে গিয়েছিলাম চাইনিজ রেস্তোরাঁ ম্যান্ডারিনে। তখন ক্লাস ১১-১২-এ পড়ি।’
আরও পড়ুন: ‘একা শুয়ে বিছানায় অসুবিধে হয়…’! বউ চৈতালিকে ছাড়া থাকতেই পারেন না রূপঙ্কর
সৌরভ-পত্নী জানালেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত দুজনের একসঙ্গে নেওয়া। আসলে তাঁরা জানতেন, দাদা রতীয় টিমে চান্স পেলে কেরিয়ারটা দাঁড়াবে। তখন আর বিয়ে করতে কোনও বাধা থাকবে না। কিন্তু কেন মেনে নেয়নি দুই পরিবার প্রথমে। ডোনা বলছেন, ‘বাড়ি থেকে অমত থাকার কারণ ছিল, আমাদের দুই পরিবারের যে ব্যবসাটা ওটা আমাদের দাদুরা শুরু করেছিল। আর দাদুদের মধ্যে কিছু মতভেদ ছিল। এছাড়া দাদারা ব্রাহ্মণ, আমরা নেই। কিছু সমস্যা ছিল। তবে দাদার বাবার সাপোর্ট ছিল। বলেছিল, তুমি ভালো করে খেল, আমি দেখছি। তারপর সব ঠিক হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: সৌমিতৃষার প্রধান কেমন লাগল আদৃতের? লাইভে এসে ‘মিঠাই রানি’র সিনেমা নিয়ে জবাব ‘সিড’-এর
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এখন দেখা যাচ্ছে দাদাগিরির দশ সিজনের সঞ্চালক হিসেবে। খুব জলদি ফ্লোরে যাবে দাদার বায়োপিক। মুখ্য চরিত্রে থাকতে পারেন আয়ুষ্মান খুরানা। খুব বড় বাজেটের হিন্দি সিনেমা হতে চলেছে এটি।