বছরখানেক আগে স্টার জলসার ইস্মার্ট জোড়িতে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচি। চৈতালি লাহিড়ির সঙ্গে গায়কের ঘনিষ্ঠতা সেইসময় কারও নজর এড়ায়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘বউই তাঁর প্রেমিকা’ অথবা ঘুরিয়ে বললে ‘প্রেমিকাই তাঁর বউ’।
২৫ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক রূপঙ্কর-চৈতালীর। ১৯৯৯ সালে বিবাহবান্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকে সুখের সংসার। তাঁদের রয়েছে একটি কন্যা সন্তানও। তবে বিয়ের পর ভালোবাসা একটুও ফিকে হয়নি, বরং বেড়েছে। নিবেদিতা অনলাইনকে রূপম বললেন, একটা দিনও তিনি থাকতে পারেন না স্ত্রীকে ছাড়া।
আরও পড়ুন: ‘দাদু ঘৃণা করে’, বাড়ির মেয়েদের কোন কাজ একদম পছন্দ নয় অমিতাভের? ফাঁস করল নাতনি
রূপঙ্করের কথায়, ‘আমার মেয়ে এসব শুনলে হাসে। তবে আমি খুব মিস করি চৈতালিকে। একটা দিন শো-এর জন্য বাইরে গেলাম, বা ও অফিসের কাজে বাইরে গেল, আমি ওকে খুব মিস করি। একা বিছানায় শুয়ে থাকতে পারি না, কেমন জানি অসুবিধে হয়। হতে পারে এট অভ্যেসের কারণে।’
আরও পড়ুন: সৌমিতৃষার প্রধান কেমন লাগল আদৃতের? লাইভে এসে মিঠাই রানির সিনেমা নিয়ে জবাব সিডের
‘আসলে আমরা দুজন অনেক গল্প করি। আমাদের প্রচুর আড্ডা মারার বিষয় রয়েছে। কখনও সিনেমা, কখনও গান। আমার মেয়ে বলে তোমরা কী যে এত কথা বলো।’, আরও বললেন রূপঙ্কর।
সঙ্গে জানালেন, দুজনের খুব একটা ঝগড়া হয় না। কারণ তাঁর রাগ নাকি ৫ মিনিটেই ঠান্ডা হয়ে যায়। এছাড়া বাবা-দাদুদের দেখে এসেছেন, বউ রেগে গেলে চুপ করে থাকতে। আর সেটাই ফলো করেন তিনিও।
আরও পড়ুন: ‘একদিন অবশ্যই…’, রুক্মিনীর সঙ্গে বিয়েটা কি খুব জলদি? অবশেষে ‘সম্মতি’ দেবের থেকে
‘ও আমার বৌদিমণির কাগজওয়ালা’ থেকে শুরু করে ‘প্রিয়তমা’ কিংবা ‘এ তুমি কেমন তুমি’-র মতো হিট গান উপহার দিয়েছেন রূপঙ্কর শ্রোতাদের। তবে ২০২১ সালে কেকে-বিতর্ক ছাপ ফেলে যায় তাঁর কেরিয়ারে। কেকে-র কলকাতায় অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু বিরূপ কথা বলেছিলেন তিনি। আর কাকতালীয়ভাবে সেই অনুষ্ঠান শেষেই না ফেরার দেশে চলে যান কিংবদন্তি গায়ক। তারপর নেটপাড়ার রোষ গর্জে পড়ে রূপঙ্করের উপরে। বিতর্ক এমন হয় যে, গায়কের একাধিক শো ক্যানসেল হয়। এমনকী, রূপঙ্করের গলায় মিও আমোরের থিম সং-ও বাতিল হয়ে যায়। তবে এই কঠিন সময়ে স্বামীকে শক্ত হাতে সামলেছিলেন চৈতালি। কম ঝড় যায়নি পরিবারের উপরে।
স্বাভাবিকভাবে মাতৃত্ব আসেনি চৈতালির। তিনি ও রূপঙ্কর দত্তক নিয়েছেন কন্যা সন্তান। ইস্মার্ট জোড়ি-তে চোখে জল এনে গায়ক-পত্নী জানিয়েছিলেন, মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি দম্পতি। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েও লাভ হয়নি। তারপর যৌথ সিদ্ধান্তে দত্তক নেওয়া। তবে কিছুই লোকাননি মেয়ের কাছে। সন্তান একটু বড় হতেই, সত্যিটা জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।