বুধবার যখন জামাইষষ্ঠীর সেলিব্রেশনে মত্ত টলিগঞ্জ, তখন ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে একটি পোস্ট লেখেন নুসরত জাহান। অন্তঃসত্ত্বা নায়িকার বিয়ে বিতর্ক এখন টলিপাড়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এর মাঝেই ‘ভালোবাসার বীজ রোপন’ করতে বলে ব্যাপক ট্রোলড হন নায়িকা।ঠিক কী লিখেছিলেন নুসরত? ‘আনন্দ, আশা আর প্রেমের বীজ রোপন কর।’
আর নুসরতের এই পোস্টের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট লেখেন নিখিল। নিজের পোস্টে প্রাক্তনকেই একহাত নিয়েছেন নিখিল, দাবি নেট নাগরিকদের। বাড়ির অন্দরের জিমের মধ্যেই পোস্ট ওয়ার্ক আউট সেলফি পোস্ট করেন নিখিল আর ক্যাপশনে লিখে দেন- ‘বৃষ্টি ছাড়া কিছুই বৃদ্ধি পায় না, তাই ঝড়কেও আলিঙ্গন করো’। প্রেমের বীজ রোপনের সঙ্গে নিখিলের এই ক্যাপশনের একটা যোগসূত্র যে রয়েছে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে কি এই পোস্টের মাধ্যমে নুসরতকে পালটা জবাব দিলেন নিখিল? একই দিনে এই পোস্ট দেখে অনেকের তেমনই ধারণা।
এই প্রথম নয়, দু-দিন আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নুসরত-নিখিলের পোস্ট দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সকলের। নুসরত ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে 'শক্তিশালী নারী'র কথা লিখেছিলেন, অন্যদিকে নিখিলও ওয়ার্ক আউটের ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছিলেন- ‘সাহসী হলেই ক্ষমতাবান বা শক্তিশালী হওয়া যায়।’
কবি সাবা খোদিরের একটি উদ্ধৃতি ধার করে নুসরত ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গর্ভবতী নুসরত লেখেন-‘নারীকে সবার পরামর্শ, শক্তিশালী হও অথচ সেই নারী নিজ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে অবস্থান বদলালেই সমাজের চোখে তার পরিচয় বদলে যায়! তার নামের পাশে তখন নানা তকমা। কিন্তু শক্তিশালী নারী হওয়ার বিশেষত্ব হল, যতই তাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হোক, সে কারওর কথাই শুনবে না’!
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নাগাড়ে সাহস, শক্তি, ক্ষমতা-র কথা বলে চলেছেন দুজনেই। নিখিল বারবার তাঁর পোস্টে কর্মফলের কথা বলেন, স্পষ্টত বুঝিয়ে দিতে চান নুসরত তাঁর জীবনের ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’। তবে এই অধ্যায়কে একেবারে মুছে ফেলতে আইনের পথেও হেঁটেছেন তিনি। আগামী মাসেই আলিপুর আদালতে নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের করা নিখিলের দেওয়ানি মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এখন দেখবার ওইদিন আদেও নুসরত আদালতে হাজির হন কিনা!