ই-কর্মাস সংস্থা ইভ্যালির প্রচারে যুক্ত থেকে লাখ লাখ টাকা আ্ত্মসাত্ করবার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী, সমাজকর্মী মিথিলার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের এই নামী শিল্পীর আরও একটা পরিচয় রয়েছে, তিনি কলকাতার বউমাও বটে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পত্নী যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন ইভ্যালিকাণ্ডে, এমনটা দু-দিন আগেই জানিয়েছিল সেদেশের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কার্যত আকাশ থেকে পড়েন মিথিলা। তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছে,সে কথাই তখনও পর্যন্ত জানতেন না মিথিলা। তবে গ্রেফতারির আশঙ্কায় নড়েচড়ে বসেছেন অভিনেত্রী। গতকাল (রবিবার) হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন মিথিলা।
মিথিলার পাশাপাশি মামলার অপর অভিযুক্ত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। আজ (সোমবার) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আতোয়ার রহমানের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে। আবেদন দুটি যথাক্রমে ১৫৪ এবং ১৫৫ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। আদালতে মিথিলার হয়ে সওয়াল করলেন আইনজীবী ইমিতায়জ ফারুক। ফারিয়ার পক্ষ আদালতের সামনে রাখবেন জে আই খান পান্না ও জেসমিন সুলতানা।
মিথিলা ও শবনম আগাম জামিনের আবেদন জানালেও এই মামলার অপর অভিযুক্ত তাহসান খান কিন্তু এখনও আদালতের কাছে জামিনের আর্জি পেশ করেননি। এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকে রয়েছেন মিথিলার প্রাক্তন স্বামী। তাহসান প্রথম আলো-কে জানিয়েছেন, তাঁর আইনজীবী মামলার কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কবে কীভাবে জামিনের জন্য আবেদন করবেন।
সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মিথিলা, তাহসানদের নামে মামলা করেন। যদিও ইভ্যালির প্রতারণা কাণ্ড গত কয়েক মাস ধরেই সংবাদ শিরোনামে। অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। শবনম ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। সাদ স্যাম রহমানের অভিযোগ ইভ্যালির প্রতারণার সম্পূর্ণ মদত জুগিয়েছেন তাহসান, মিথিলারা। প্রতারিত গ্রাহকের দাবি, মিথিলা-তাহসান-শবনমদের আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি।
মিথিলা-শবনম-তাহসানসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সাদ স্যাম রহমান। ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হওয়ার পর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ থাকা মিথিলা চুক্তি বাতিলের খবর জানিয়েছিলেন। ই-কমার্স কোম্পানির জনসংযোগ আধিকারিক শবনমও দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। মিথিলা জানিয়েছেন, তিনি নিজেই এই কোম্পানির হাতে প্রতারিত হয়েছে, অযথাই এই প্রতারণার মামলায় তাঁর নাম টেনে আনা হচ্ছে।
ফারিয়ার আইনজীবী তো সরাসরি এই মামলাকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সাদ স্যাম রহমান অপরাধের তারিখ দেখিয়েছেন ২০২১-এর ২রা মে, অথচ ফারিয়া ইভ্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন ১লা জুন। তাই ফারিয়ার নামে মামলাটি অর্থহীন।