ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে আরও একটা বছর। আজও মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন শিখা শর্মা। 'স্মৃতি' বললে হয়তবা একটু ভুল হয়ে যায়। শিখা দেবীর কাছে তাঁর আদরের মিষ্টি আজও একইভাবে আছে, শুধু তাঁর শারীরিক উপস্থিতিটুকু নেই। ঐন্দ্রিলার প্রথম মৃত্যুূবার্ষিকীতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ডুকরে কেঁদে উঠলেন শিখা শর্মা।
শিখা শর্মা জানান, ‘আমি এখন বহরমপুরে, কলকাতাতে নেই। আজ সকাল থেকে ২৫টা বৃক্ষরোপণ করলাম, কারণ মিষ্টিরও তো ২৫ বছর বয়স হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে, আমার নার্সিং স্কুলে বৃক্ষরোপণ করলাম। আর কিছু বনদফতরে মাধ্যমে করব। আর কিছু দুঃস্থ মানুষজনদের খাওয়াব, শীতবস্ত্র দান করব, পথ সারমেয়দের খাওয়াব, এই আর কী… আর কীই বা করব, সারাদিনটা ওঁর স্মৃতিতে কাটানো।’
আরও পড়ুন-কাবুলিওয়ালার বাইরে মিঠুনদার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর মতো: সুমন ঘোষ
আরও পড়ুন-২০২৩-এর ১২ মার্চ, ওই দিনই তো ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর বিয়ের কথা ছিল, বলছেন শিখা শর্মা
শিখা দেবীর কথাতে উঠে এল অরিজিৎ সিংয়ের কথাও। তিনি বলেন, ‘গতকাল অরিজতের সঙ্গেও কথা হল। বলল, কাকিমা একবছর কেটে গেল ভাবতেও পারছি না। আমি বললাম, হয়ে গেল গো…। ঐন্দ্রিলা তো গাছ ভালোবাসত, তো অরিজিৎ বলল, কাকিমা আমিও আজ বৃক্ষরোপণ করব আমার এখানে ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে। অরিজিতও তো মুর্শিদাবাদের, ওর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক যোগাযোগ। ও মিষ্টিকে খুব ভালোবাসত। অরিজিৎ মিষ্টিকে বলত মুক্ত পাখি। সব্য়ও (সব্যসাচী চৌধুরী) ওর মতো করে হয়ত কিছু করবে, এটা নিয়ে আমি আর কী বলব…। আর ও খুবই যোগাযোগ।’
আপনি বহরমপুরে আর আপনার আরেক মেয়ে ঐশ্বর্য?
শিখা দেবী বলেন, ‘ও কলকাতাতেই আছে। মিষ্টি ওই ফ্ল্যাটে। ও MS করছে, ওর তো এখন হাসপাতালের ডিউটি পুরোদমে করছে। চাপ আছে, তাই ও আসতে পারেনি। আমাকেও কলকাতাতে যেতে হয় বড় মেয়ের কাছে। মিষ্টির জন্যও যাতায়াত করতাম, আর এখন বড় মেয়ের জন্য।’