রাত পোহালেই দোল (২৫ মার্চ)। আর ঠিক তার পরদিনই আবার হোলি (২৬ মার্চ)। রঙের উৎসবে মাতবে গোটা দেশ। কে না চান, এমন একটা সুন্দর দিনে রঙিন হয়ে উঠতে! আর এবার একসঙ্গে দোল খেলবেন এই মুহূর্তে টলিপাড়ার সবথেকে রঙিন দম্পতি। বিয়ের পর এটাই যে তাঁদের প্রথম দোল। ঠিকই ধরেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ীর কথা-ই বলছিলাম।
তবে শুধু দোল নয়, আজ (রবিবার) থেকেই নবদম্পতি কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতে নানান অনুষ্ঠান, পুজো, সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যাচ্ছে। তার সবটা Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন 'নতুন বউ' শ্রীময়ী।
শ্রীময়ীকে যখন ফোন করা হল, তখন বাজে প্রায় দুপুর ১টা। কেমন আছেন? প্রশ্ন করতেই হেসে জানালেন 'দারুণ'। তারপরই দোলের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে শ্রীময়ী বললেন, ‘আজ (২৪ মার্চ, রবিবার) তো পূর্ণিমা লেগে গেছে। আর আমি এখন মায়ের কাছে এসেছি, হাতিবাগানের বাড়িতে। কাঞ্চনও প্রচার সেরে এই মাত্র ঢুকল। মায়ের এখানে আজ, (২৪ মার্চ রবিবার) সত্যনারায়ণ পুজো হবে, বিয়ের পর প্রথম যে সত্যনারায়ণ পুজো রাখা হয় সেটা।’
আরও পড়ুন-'ডিমের কুসুম, ব্যাটারির কালিও মেখেছি আর স্নানে গিয়ে… এবার তো দীপঙ্করের সঙ্গেই দোল…: অহনা
আরও পড়ুন-বিয়ের পর ১ম দোলে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন স্বর্ণেন্দু, শ্রুতি বললেন, ‘নতুন জামাই আসবে বলে কথা…'
তারপর?
শ্রীময়ী বললেন, ‘এরপর এখান থেকে আমরা যাব শ্বশুরবাড়িতে। ওখানে আমাদের কষ্ঠিপাথরের রাধামাধব আছে। তাঁকে আগে আবির ছোঁয়াতে হবে। তারপরই আমরা দোল খেলতে পারব। রাঘামাধবকে ভালো করে আবির মাখিয়ে, গঙ্গাজল-গোলাপ জল, ঘি, মধু দিয়ে স্নান করাতে হবে। পুরো ঘষে-মেজে চকচকে করে তুলে তারপর তাঁকে নতুন জামা-কাপড় পরানো হবে। এরপর বাড়িতে একটা যজ্ঞের হবে। সিন্নি প্রসাদ হবে। আর আজ একটা নাম সংকীর্তনও রাখা হয়েছে। যেটা আসলে গত বছর (২০২৩) থেকেই শুরু হয়েছে। চৈত্র মাসে যে একটা হয়না নাম সংকীর্তন, ওটাই। শুধুমাত্র আত্মীয়রাই এখানে উপস্থিত থাকবেন।’
এটা তো গেল রবিবারের অনুষ্ঠান, আর সোমবার দোল?
শ্রীময়ী বললেন, 'দোল তো অবশ্যই খেলব। বাড়ির ছাদে, কারণ নাহলে ঘর নষ্ট হয়। আর আমি তো আবির খেলি, রং-এ যে এলার্জি আছে। তারপর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন হয়েছে। মেনু হল মাংস, ভাত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি। তবে এর পুরোটাই হবে আমার-কাঞ্চনের বাড়িতে। দোলের দিন ক্লাবে বা অন্যকোথাও গিয়ে খেলি না। বাড়িতে আমার দাদা-বউদি, ভাসুর-জা, আমার বোন ওর ছোট্ট বাচ্চা, এরাঁ সকলে আসবে। তবে আমার দিদি আসতে পারবে না, ও বাইরে থাকে তাই। আমার সবাই মিলে গানবাজনা করব, আড্ডা দেব, ছবি তুলব। বাড়ি পুরো জমজমাট থাকবে। হাউস পার্টি বলতে পারেন।
আর কোনও পরিকল্পনা নেই। আজ রাত থেকেই সকলে থাকছেন। পুরো হই-হুল্লোড় শুরু হয়ে যাবে… (হাসি)।