অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও কোনও সরকারি কাজ করতে পারবেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হওয়া কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের প্রদানের আর্জি জানানোর প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, যদি নির্বাচন না থাকত, তাহলে কোনওরকম অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি দেওয়া হত না। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, 'সরকারের কাজকর্মে কোনওরকম হস্তক্ষেপ চাই না।' কেজরিওয়ালকে কাজ করার অনুমতি দিলে সেটা স্বার্থের সংঘাত হতে পারে।
তাতে রাজি হয়ে গিয়েছেন কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংঘভি। তিনি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ার পরে কোনও ফাইলে সই করবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনও ফাইলে সই করেননি বলে কোনও সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, সেটা যেন না হয়। তবে এখনও পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন পাননি কেজরিওয়াল। আজ শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। রায়দান এখনও করা হয়নি।
তারইমধ্যে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী তথা ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, 'দয়া করে রাজনৈতিক নেতাকে আলাদা শ্রেণির লোক হিসেবে চিহ্নিত করে দেবেন না। সাধারণ মানুষের থেকে তাঁদের আলাদা করে দেবেন না। দেড় বছরে (ইডি) কিছু করেনি এবং নির্বাচনের আগে (তাঁকে) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু এটা সঠিক ধারণা নয়।'
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি খান্না মন্তব্য করেন যে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর আবেদনকারী জড়িত আছেন বলে জানতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনও টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটাও সেইসময় নিশ্চয়ই জানত ইডি। কেন্দ্রের তরফে জনানো হয় যে গ্রেফতারির সময় আরও তথ্য লাগত। কাউকে সরাসরি গ্রেফতার করা যায়। সেই রেশ ধরেই সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন যে নির্বাচন এসেছে বলেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিষয়টা সেরকম নয়। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'কোনও দফতর ছাড়াই উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। কয়েকজন লোককে জায়গা করে দিতে সেই কাজটা করেছিলেন।'
আরও পড়ুন: SSC Scam: সাড়ে পাঁচ হাজার নয়, বেআইনি নিয়োগ আরও বেশি, SSCর সওয়ালে বেরিয়ে এল আসল তথ্য
যদিও বিচারপতি খান্না এবং বিচারপতি দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট বলেছে, ‘উনি রাজনীতিবিদ নাকি রাজনীতিবিদ নন, সেটার ভিত্তিতে আমরা বিবেচনা করছি না। প্রত্যেক ব্যক্তির বিশেষ পরিস্থিতি বা বিষয় থাকে। আমাদের দেখতে হবে যে উনি সেই বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন কিনা, বিশেষত এখন যেহেতু নির্বাচন চলছে। আমরা এটা বলছি না বিভিন্ন লোকের জন্য আইন বিভিন্ন হয়।’
আরও পড়ুন: IND W vs BAN W T20I: সবথেকে বেশি বয়সে অভিষেক আশার, বাঙালি অ্যাঙ্কর ভাসালেন আবেগে, হাততালি পুরো দলের