৫৩৮ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় নাম জড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল। সোমবার নরেশকে বম্বে হাই কোর্টের তরফ থেকে ২ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে নরেশ গোয়েলকে জামিন দেন বিচারপতি এনজে জমাদার। এর আগে পিএমএলএ বিশেষ আদালতেও চিকিৎসার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন নরেশ। পিএমএলএ বিশেষ আদালতে নরেশ দাবি করেছিলেন, জেলে দুর্বল হয়ে পড়ছেন তিনি। তাঁর ভেঙে পড়া শরীরের ছবি ভাইরালও হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা যায়, নরেশের ক্যানসার আছে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দেয়, ২ মাস টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভরতি থাকবেন নরেশ গোয়েল। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলবে। তবে তাঁকে তখন জামিন দেওয়া হয়নি। তবে এবার বম্বে উচ্চ আদালত জামিন দিল। বিচারপতি এই নিয়ে পর্যবেক্ষণে বলে, 'একজন জেলবন্দির চিকিৎসার মানের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের চিকিৎসার মানের ফারাক আছে।' (আরও পড়ুন: আচরবিধি শিথিল হতেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের লাভের খাতায় জুড়বে ২৭.৫ শতাংশ?)
আরও পড়ুন: মাঝে আর মাত্র ১ দিন, বৃহস্পতি থেকেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য আসছে বড় বদল
প্রসঙ্গত, কানাড়া ব্যাঙ্কে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে নরেশ, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং জেট এয়ারওয়াজের কয়েকজন প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল যে, জেট এয়ারওয়েজকে ৮৪৮.৮৬ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটার মধ্যে ৫৩৮.৬২ কোটি ফেরানো হয়নি। এরপরই নরেশ গোয়েলের বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। (আরও পড়ুন: ৭ দিনে ৪ দফায় কমার পর আজ লং জাম্প সোনার দামে, কলকাতায় আজ হলুদ ধাতুর দর কত?)
আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩২ কোটি নগদ টাকা, ইডির হাতে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব
জেট প্রতিষ্ঠাতা নরেশের বিরুদ্ধে তী অভিযোগ ছিল? কোম্পানির জন্য নেওয়া ঋণের টাকা নিজের মেয়ের প্রযোজনা সংস্থা-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতেন তিনি। আবার কিছু অর্থ পাঠিয়ে দিতেন এমন দেশ বা জায়গায়, যেখানে করের হার কম। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, স্রেফ ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং নিজের পকেট ভরানোর জন্য সেই কাজ করতেন নরেশ। (আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে বড় গোলমাল, মহাকাশযান থেকে বের করে আনা হল সুনীতাকে, স্থগিত অভিযান)
আরও পড়ুন: আজকের ৯৩ আসনে ২০১৯ সালে ৫১.৮% ভোট পেয়েছিল NDA! কতটা পিছিয়ে INDIA?
এর আগে জেট এয়ারওয়েজের অডিট রিপোর্টের উল্লেখ করে আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, ২০১১-১২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে জেট এয়ারওয়েজের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ৯.৪৬ কোটি টাকা নিজের মেয়ে নম্রতা, ছেলে নিভান এবং স্ত্রী অনিতা-সহ পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে ছিলেন উড়ান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।