গত বেশ কয়েকদিন ধরেই টালিগঞ্জে ফিসফাস অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার এবং প্রযোজক রানা সরকারকে নিয়ে। ছিল নিন্দুকদের নানান জিজ্ঞাসাও। তবে সবটুকুই ছিল ঘেরাটোপের মধ্যে। ভীষণ চাপা। টলিপাড়ায় আর পাঁচজন সফল প্রযোজকের মতো নিন্দুকের অভাব নেই রানার-ও। নিন্দুকদের সেই চাপা ফিসফাস এবার পরিণত হয়েছে গুঞ্জনে। শোনা যাচ্ছিল, মধ্যবয়স্ক এই প্রযোজকের প্রেমে পড়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এবার সেসব নিয়েই হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে মুখ খুললেন 'জাতিস্মর' ছবির প্রযোজক।
ফিসফাস উঠেছিল প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গে রানার বেশ কয়েকটি ছবির চুক্তি হওয়ার পর। সম্প্রতি এই প্রযোজকের পরপর সব ছবির প্রস্তাবে অভিনেত্রী হিসেবে সম্মতি দিয়েছেন এই টলি-নায়িকা। তালিকায় রয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে', শ্রীজাতর প্রথম ছবি 'মানবজমিন' এবং রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ফিউচারিস্টিক থ্রিলার 'চং চং'। এইসব ছবির খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে ফিসফাস। দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিতে কসুর করেনি কেজো লোকেদের দল।
এরপর ফিসফাসের জোর আরও বাড়ে যখন পরিচালক সুব্রত সেনের ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে 'F**k you' বলেছিলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেখানে সুব্রতবাবুর হয়ে গর্জে উঠেছিলেন 'চতুষ্কোণ' এর প্রযোজক। অভিনেতার ঠিক সেই কমেন্টের নিচে তাঁর কমেন্ট নজর কেড়েছিল সবার, 'আমাদের দেশে অনেক ধরনের দ্বিচারিতা (ডাবল স্ট্যান্ডার্ড) আছে। যেমন মোদীজি নিজের বউকে দেখে না। আরও অনেকে আছে যারা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাকে বড় করার ন্যূনতম দায়িত্ব নেয় না। অনেকে নিজের বুড়ো বাবা-মাকে দেখে না। এগুলোও দ্বিচারিতা নয় কি?’ রানার এই মন্তব্যেই নড়েচড়ে বসেছে নেটপাড়া। নিজের করা বক্তব্যের পিছনে কারণ হিসেবে সেদিনই রানা সরকার স্পষ্ট কথায় হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছিলেন, 'ইন্ডাস্ট্রিতে একজন অগ্রজের প্রতি জুনিয়রের এহেন মন্তব্য কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।' পাশাপাশি রাহুলও জানিয়েছিলেন, 'দেখুন আমার বিশ্বাস রানাদা আমার উদ্দেশে ওই মন্তব্য করেননি। আশেপাশের সমগ্র সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েই সেকথা বলেছেন তিনি'।
তবে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে রানা সরকারের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ' এসব মানে...কী বলব, জানি না। তবে দেখুন, পরিষ্কার করে একটা কথা বলি। আমি বিবাহিত। এবং যথেষ্ট সুখে ঘর সংসার করছি।' যদিও এরপর আর একটি কথাও বাড়াতে রাজি হননি তিনি।