অতিমারী আবহে এবার মানুষের জীবনের অনেক হিসেবই উলটে পালটে গিয়েছে। হয়তো সেই ছন্দেই তাল মিলিয়ে টানা ৮ বছরের রেকর্ডে ছেদ পড়ল টলিউড তারকা দেবের। এবারের পুজোয় কোনও নতুন ছবি নিয়ে হাজির হচ্ছেন না অভিনেতা দেব। তবে এই নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ বা আক্ষেপ নেই বলেই জানান ঘাটালের সাংসদ। ক্যালক্যাটা টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অভিনেতা জানান- এই বছরটা বেঁচে থাকার বছর , সব ওলোট পালট হয়ে যাওয়াকে আবার ধীরে ধীরে পুরোনো অবস্থায় নিয়ে ফিরে আসার বছর। তাই আর নতুন করে পুজো রিলিজ নিয়ে কিছু ভাবছেন না তিনি।
২০১২ সালের দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেয়েছিল দেবের চ্যালেঞ্জ ২। সেই শুরু এরপর একটানা সাত বছর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সবে টলি সুপারস্টার হাজির হয়েছেন রংবাজ (২০১৩),যোদ্ধা (২০১৪)),শুধু তোমারি জন্য (২০১৫), জুলফিকার (২০১৬),ককপিট (২০১৭),হইচই আনলিমিটেড (২০১৮), পাসওয়ার্ড(২০১৯) নিয়ে।
এই বছর পুজোয় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল দেব-রুক্মিনী জুটির কিশমিশ।তবে করোনার জেরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন দেব। এখনও এই ছবির শ্যুটিং শুরুই হয়নি। কিন্তু সেই নেই কোনও আক্ষেপ নেই দেবের।
অতিমারীর আঘাত সামলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আবার পূর্বাবস্থায় ফিরছে বলেই মনে করছেন তারকা। পুজোর আগে সিনেমা হলের তালা খুলে যাওয়ায় খুশি দেব। তাঁর আশা ইন্ডাস্ট্রির সকলেই এবার আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াবে। সর্বোপরি বহু নতুন প্রযোজক বাংলা ছবিতে ইনভেস্ট করছেন,নতুন প্রতিভার বিকাশের সুযোগ ঘটছে,স্বভাবই খুশির প্রতিফলন ঘটে তাঁর কণ্ঠে।
নিজেও কাজে ফিরেছেন দেব। আপতত কম্যান্ডো ছবির লোকেশন রেইকি করতে দুবাই উড়ে গিয়েছেন তারকা। ১লা নভেম্বর দুবাইয়ে শুরু হবে দেবের প্রথম বাংলাদেশি ছবির শ্যুটিং।
লকডাউন এবং পরবর্তী আনলক পর্বেও একাধিক অসহায় মানুষের কাছে মসিহাতে পরিণত হয়েছিলেন দেব। বহু পরিযায়ী শ্রমিককে যেমন সাহায্য করেছেন ঘরে ফিরতে, তেমনি বিদেশে পড়তে যাওয়া একাধিক ছাত্রকেও নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়েছেন অভিনেতা। বহু দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন- চিকিৎসার প্রয়োজনে করেছেন অর্থসাহায্য। ডেবরাতে নিজের অফিসকে রূপান্তরিত করেছেন আইসোলেশন সেন্টরে। এই সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও কুড়িয়ে নিয়েছেন এই টলি তারকা। তবে এতকিছুর পরেও থামছেন না দেব। জানান মানুষের সেবা করা , বিপদে পাশে দাঁড়ানোটাই প্রত্যেক মানুষের স্বাভাবিক কর্তব্য। এই নিয়ে কোনও ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আত্মপ্রচার একদমই না-পসন্দ তাঁর।