শ্যুট ফ্রম হোম-এর পর্ব শেষে আজ থেকেই স্টুডিওপাড়ায় ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের রব গমগম করবার কথা। তালা খুলেছে সরকারের নির্দেশে, কিন্তু টলিগঞ্জের একাধিক স্টুডিও পাড়ায় আজ আলো জ্বলেও নিভে গেল, গড়াল না ট্রলির চাকা।
কলটাইম মতোই আজ শিল্পীরা পৌঁছে গিয়েছিলেন শ্যুটিং সেটে। কিন্তু শিল্পীরা পৌঁছালেও জানা যাচ্ছে টেকনিশিয়ানদের একটা বড় অংশ এদিন সেটে হাজির হননি।
তবে সব ধারাবাহিকের এই অবস্থা একেবারেই নয়। ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ তর্জায় ফেডারেশনের তরফে ‘মিঠাই’, ‘কৃষ্ণকলি’, 'শ্রীময়ী'সহ যে ২০টি ধারাবাহিকের প্রযোজকদের কাছে একাধিক বিষয় নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছিল, মূলত সেই সিরিয়ালের সেটেই অনুপস্থিত টেকনিশিয়ানরা।
গত সোমবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ৫০ জন সদস্যকে নিয়ে ফের আউটডোর ও ইনডোর শ্যুটিং করা যাবে। তবে যাঁরা এই শ্যুটিংয়ে যোগ দেবেন, তাঁদের অবশ্যই ভ্যাক্সিনেটেড হতে হবে, মানতে হবে কোভিড সংক্রান্ত সকল প্রোটোকল।
কৃষ্ণকলি, শ্রীময়ী ধারাবাহিকের সেটে শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক হাজির থাকলেও দেখা মিলল না টেকনিশিয়ানদের। এই নিয়ে এখনও ফেডারেশন কিছু মন্তব্য করেনি। তবে আর্টিস্ট ফোরামের তরফে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে শ্যুট ফ্রম হোমের রীতিও লঙ্ঘন করে যে ২০টি ধারাবাহিক শ্যুটিং চালিয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধেই ফেডারেশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি। উল্লিখিত ধারাবাহিকে ফেডারেশনের কোনও সদস্য কাজ করতে পারবেন না। ফেডারেশনের নির্দেশ, প্রোডিউসার গিল্ডের সঙ্গে ফেডারেশনের নতুন করে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এখানেই শেষ নয়, সিনে মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়, নতুন বা পুরনো, কোনও ধারাবাহিকেই কাজ করা যাবে না সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া। সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে সদস্যপদ বাতিল করার সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে। সুতরাং স্বেচ্ছায় হোক বা সংগঠনের নির্দেশ মেনে প্রযোজক, আর্টিষ্ট ফোরামের সঙ্গে টেকনিশিয়ানরা অসহযোগিতার পথেই হাঁটলেন এদিন।