কথা নেই, বার্তা নেই আচমকাই নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং শুরু হয়ে গেল ‘জওয়ান..এক্সটেন্ডেড’ ভার্সনের। সেটা তিন দিন আগের কথা। ২রা নভেম্বর ছিল শাহরুখের জন্মদিন। আর ১লা নভেম্বর মধ্যরাত পার হতেই নেটফ্লিক্সে চলে আসে জওয়ান-এর ওটিটি ভার্সন। রাত ১২টা বেজে ১ মিনিটে টুইট করে সুখবরটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেয় স্ট্রিমিং জায়েন্ট নেটফ্লিক্স। সঙ্গে ছিল শাহরুখের সারপ্রাইজ ভিডিয়ো। যাকে বলে মেঘ না চাইতেই জল!
সেই প্রোমো নিয়ে রীতিমতো হইচই কাণ্ড। জওয়ান ও তার গার্ল গ্যাং নিয়ে তৈরি এই প্রোমোশন্যাল টিজার তৈরির নেপথ্যের গল্প ফাঁস করেছেন আশিস শাক্য। এই প্রোমো তৈরির ক্রিয়েটিভ টিমের অন্যতম অংশ তিনি। লেখন হুসনের সঙ্গে মিলে এই প্রোমোটি লিখেছেন আশিস। কীভাবে সম্ভব হয়েছিল সবটা?
আশিস জানান, ‘মজার ব্যাপার হল, আমাদের হাতে শ্যুটিং করার জন্য মাত ৩০ মিনিট সময় ছিল। অনেকসময়ই এটা ঘটে, স্টারদের শেডিউল এতটাই চাপের হয়। তাই পরিচালক অক্ষত গুপ্তকে কুর্নিশ, তিনি ও তাঁর দুর্দন্ত টিম স্বল্প সময়েই বাজিমাত করেছেন’।
প্রমোশন্যাল ভিডিয়ো-তে ‘জওয়ান’ রূপী শাহরুখের দেখা মিলল নেটফ্লিকসের সার্ভার রুমে। নেটফ্লিক্স কর্তাকে ফোন করে হুঁশিয়ারি দু-মিনিটে জওয়ান ছবির ওটিটি-তে না এলে বোম মেরে সব উড়িয়ে দেব। হুমকি দেন- 'কথা না শুনলে, টুডুমকে (নেটফ্লিক্সের গ্লোবাল ফ্যান ইভেন্ট) আমি বুদুম করে ছাড়ব’। জওয়ান-এর গার্ল গ্যাং-কেও পাওয়া গেল ভিডিয়োতে। ‘চিফ’-এর নির্দেশ এখানেও অক্ষরে অক্ষরে পালনে তৎপর তাঁরা। নেটফ্লিক্স নিজেদের 'মন্নত' শোনার আবদার জানালে জওয়ান স্পষ্ট বলেন, ‘মন্নত শুধু আমার’।
দাবি মেনে নেওয়ার পরে বোম নিষ্ক্রিয় করতে অস্বীকার করে জওয়ান। আর সেই বোম ফাটতেই আসল চমক। ব্লাস্ট নয়, ভেসে আসে হ্যাপি বার্থ ডে মেসেজ। তাঁর জন্মদিনে জওয়ান উপভোগ করার পরামর্শ দেন শাহরুখ।
জওয়ান-এর ওটিটি রিলিজ শাহরুখ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি দারুণ খুশি যে ওটিটি-তে জওয়ানের এক্সটেন্ডেড ভার্সন মুক্তি পেয়েছে। সারা বিশ্বের ফ্যানেরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে বসে জওয়ান দেখার সুযোগ পাবে। চিত্রনাট্য লেখার সময় থেকে স্ক্রিন পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া, জওয়ানের জার্নিটা এক কথায় অসাধারণ। একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এটা আমাদের লেবার অফ লাভ। বিশ্ব সিনেমাকে দেওয়া একটা উপহার’।
এই ছবিতে একসঙ্গে বাবা ও ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ। বিক্রম রাঠোর এবং আজাদের ভূমিকায় ফ্যানেদের দিল নিমেষে জিতে নিয়েছেন তারকা। এই ছবিতে শাহরুখের মা এবং স্ত্রী উভয় ভূমিকাতেই পাওয়া গিয়েছে দীপিকা পাড়ুকোনকে। অন্যদিকে নয়নতারাকে দেখা গিয়েছে শাহরুখের (আজাদ) লেডি লাভ হিসাবে।