সিংহ রায় পরিবারের বিপদ যেন শেষ হতে চায় না। একের পর এক আঘাত হানছে প্রতিপক্ষ। কিন্তু দমতে নারাজ ঋদ্ধি -খড়ি।
অয়নার আসল চেহারা ফাঁস করতে ঋদ্ধি-খড়ির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে দ্যুতি। রাহুলই যে লুকিয়ে দত্তদের সাহায্য করে পরিবারের ক্ষতি করেছে, তা আর বুঝতে বাকি নেই। এ বার সেই সত্যিটা পরিবারকে জানানোর পালা। স্বামীর আসল চেহারা সামনে আনতে ঋদ্ধি-খড়িকে সাহায্য করছে দ্যুতি। কায়দা করে রাহুলের পকেট থেকে তার ফোন বার করে নেয় সে। কারণ সেখানেই মিলবে তার কর্মকাণ্ডের যাবতীয় প্রমাণ।
অন্য দিকে, গুণ্ডাদের সঙ্গে একা লড়াই করে মধুজাকে বাঁচায় বনি। আর তখনই নিজের ভুল পারে মধুজা। এত দিন ধরে দুর্ব্যবহারের জন্য বনির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় সে।
এ সবের মাঝেই অয়না-কুণালের বিয়ের মুহূর্ত এসে গিয়েছে। এই সম্পর্ক নিয়ে কুণালের মনে সঙ্কোচ থাকলেও মুখে কিছুই বলতে পারছে না সে। সাতপাক ঘুরে বিয়ের আগে হবে রেজিস্ট্রি। আর সেই রেজিস্ট্রির কাগজপত্রের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে সিংহ রায়দের সম্পত্তি হস্তান্তরের চুক্তিপত্র।
(আরও পড়ুন: অয়নার খেলা শেষ? ধরা পড়বে রাহুল? 'গাঁটছড়া'র নয়া পর্বে টানটান উত্তেজনা)
বিয়ের ঠিক আগে প্রতিবাদ করে ওঠে কুণাল। জানিয়ে দেয়, এই বিয়ে সে করবে না। রেজিস্ট্রির কাগজেও সই করবে না। মায়ের অনুপস্থিতিতে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে নারাজ সে। সিংহ রায় পরিবারে দ্বিতীয় বিয়ের চল নেই। তাই কুণালও সেই পথে হাঁটতে চায় না। যে বনি তার জন্য নিজের সব কিছু ত্যাগ করে দিয়েছে, তাকে নিজের জীবন থেকে বাদ দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় কুণাল।
(আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই শাশুড়িকে কিডন্যাপ অয়নার! কী ভাবে সত্যিটা সামনে আনবে ঋদ্ধি-খড়ি)
প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয় না। বাধ্য হয়ে রেজিস্ট্রির কাগজে সই করতে হয় কুণালকে। সাক্ষী হিসেবে ঋদ্ধিকে দিয়ে সই করানোর চেষ্টা করা হয়। আর তখনই ফাঁস হয় আসল সত্যি। ঋদ্ধি জানায়, যে কাগজে সকলে সই করছে সেটা আসলে সিংহ রায় পরিবারের সম্পত্তি হস্তান্তরের কাগজ।
তার পরেও হার মানতে নারাজ অয়না। কুণালের হাতে জোর করে সিঁদুর পরতে চায় সে। আর তখনই তাকে বাধা দেয় মধুজা। তা হলে কি ফের জোড়া লাগবে কুণাল-বনির সম্পর্ক? সামনে আসবে রাহুলের আসল চেহারা? এখন সেটাই দেখার।