কথা রাখল বনি। কুণালের ভালোবাসা তাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাড়ি ছাড়ল সে। ফিরল অয়না।
এ সবের মাঝেই আরও এক দুঃসংবাদ। সিংহ রায় জুয়েলার্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর চুক্তিভঙ্গ করে প্রতিদ্বন্দ্বী দত্তদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আর তা শুনেই আকাশ ভেঙেছে ঋদ্ধির মাথায়। কী করবে সে? কী ভাবেই বা ব্যবসাকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাবে? কিছুই যেন সে বুঝে উঠতে পারছে না। এমন অবস্থায় অয়নার কাছে সাহায্য চায় সুধাংশু। অয়নাকে তার বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলে সে। তার বিশ্বাস, তা হলেই দত্তদের সঙ্গে সিংহ রায়দের এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা শেষ হবে।
অয়না যদিও জানায়, কুণালের পরিবারকে কোনও রকম সাহায্য তার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ মা-বাবার সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেই নাকি সে ভালোবাসার টানে সিংহ রায় বাড়িতে ছুটে এসেছে।
(আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমার কল্যাণে 'গাঁটছড়া'য় নয়া মোড়! ঋদ্ধিকে দেখে অবাক হতে পারেন)
সত্যিই কি তাই? কুণালের জন্য এত বড় আত্মত্যাগ করেছে সে?
না। নিজের পরিবারের অপমানের প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছে অয়না। সিংহ রায় বাড়িতে থেকে তাদের ক্ষতি করার পরিকল্পনা তার।
(আরও পড়ুন: রাহুলকে দ্যুতির সপাট চড়, ফের ভাঙনের মুখে ঋদ্ধি-খড়ির সম্পর্ক! নয়া মোড় গাঁটছড়ায়)
অন্য দিকে, ফের পুরনো ছন্দে ফিরেছে রাহুল। দ্যুতিকে অপমান করতেও পিছপা হচ্ছে না। কিন্তু দ্যুতিও এ বার হার মানতে রাজি নয়। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ খুঁজছে সে।
ঋদ্ধি-খড়ির সম্পর্কের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে মধুচন্দ্রিমা। ঝগড়া-বিবাদ ভুলে কাছাকাছি তারা। সুযোগ পেয়েই স্ত্রীকে নিজের কাছে টেনে নিয়েছে ঋদ্ধি। খড়িও নিঃশব্দে স্বামীর বাহুডোরে ভালোবাসার উষ্ণতা গায়ে মেখে নেয়। কিন্তু এই প্রেমের মরশুম কি আদৌ দীর্ঘস্থায়ী হবে? নিজের অজান্তেই দত্তদের জন্য গয়না ডিজাইন করেছে খড়ি। এই সত্যি ঋদ্ধির সামনে আসার পরেও কি একই রকম থাকবে তাদের সম্পর্ক? এখন সেটাই দেখার।