ছবি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অমিতাভ বচ্চন। ফলাও করে ছেলের প্রশংসা করেছিলেন। ‘ঘুমর’ ছবিতে মদ্যপ ক্রিকেট কোচের ভূমিকায় অভিষেকের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে, কিন্তু তারপরেও পকেট খালি! হ্যাঁ, গদর ২ সুনামি মাঝে অভিষেক-সায়ামির ‘ঘুমর’ একেবারেই এঁটে উঠতে পারল না।
মুক্তির প্রথম দিন দেশ জুড়ে এক কোটি টাকারও টিকিট বিক্রি হয়নি পরিচালক আর বাল্কির এই ছবির। Sacnilk.com-এর রিপোর্টানুসারে শুক্রবার এই ছবির কালেকশন ছিল মাত্র ৮৫ লক্ষ টাকা, অন্যদিকে দ্বিতীয় দিন ঘুমর-এর ব্যবসা খানিকটা বেড়েছে। শনিবারে ছবির আয় ছিল ১.২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ দু-দিনে দেশের বক্স অফিসে ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবি। শুধু গদর ২ নয়, অক্ষয় কুমারের ওমএমজে ২-ও মুক্তি পেয়েছিল স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে। দুই স্টার-পাওয়ারের চাপে অনেকটাই কোণঠাসা ঘুমর। পাশাপাশি দক্ষিণী ছবি ‘জেলার’-এরও রমরমা দেশজুড়ে।
শুক্রবারের তুলনায় শনিবার ঘুমরের ব্যবসা খানিক বেড়েছে। এদিন থিয়েটারে উপস্থিতির হার ছিল ২৯.৯৭ শতাংশ। লোকমুখে প্রচারই এই ছবির একমাত্র ভরসা। আশা করা যায়, রবিবার ছবির ব্যবসা আরও খানিকটা বাড়বে। কিন্তু সেটা ‘ঘুমর’কে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে পারবে কিনা তা বলা মুশকিল।
ব্যর্থ-মদ্যপ ক্রিকেটার অভিষেকের হাত ধরে কীভাবে দেশের জার্সিতে খেলবার স্বপ্নপূরণ হবে এক হাত কাটা সায়ামির সেই গল্পই উঠে এসেছে ‘ঘুমর’-এ। ছোট থেকেই ক্রিকেটই সায়ামির ধ্যান-জ্ঞান। দুর্দান্ত এই ব্যাটার টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলবার সুযোগও পায়। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস! সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাত বাদ পড়ে তাঁর। অবসাদ ঘিরে ধরে তাঁকে, জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করে ব্যাট হাতে না ধরতে না পারার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা সায়ামি। এরপর ব্যাট ছেড়ে একহাতে বল তুলে নেবে সে। মদ্যপ কোচের হাত ধরেই শুরু হবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
প্রসঙ্গত, আর বাল্কির অন্য সব ছবির মতো এই ছবিরও অংশ থেকেছেন অমিতাভ। তাঁর দেখা মিলেছে ক্যামিও চরিত্রে। ক্রিকেট মাঠে ধারাভাষ্য দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে বরের ছবির প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে ঐশ্বর্যকে। পিছিয়ে নেই অমিতাভও। বিগ বি-র কথায়, 'এই ছবির অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেট খেলা এবং একটি মেয়ের স্বপ্নের সঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার মধ্যেই সবটা সীমিত থাকে না, পরিবারের এফেক্ট, মায়ের প্রভাব, নিখাদ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প হয়ে ওঠে এটা। এই গল্পের মূল আকর্ষণ এটাকে সহজ সরল ভাবে বলার ধরন। যাঁরা জয়ী হন এবং হেরে যান যাঁরা তাঁদের অন্তরের জটিল ভাবনা এখানে ফ্রেমবন্দি হয়েছে। আমরা সকলেই কম বেশি জীবনে কখনও না কখনও সেই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সেগুলোকে পরিচালক এখানে একদম সহজ ভাবে তুলে ধরেছেন।'