মুক্তির পরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত ছবি ‘বাওয়াল’। দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বরুণ ধাওয়ান এবং জাহ্নবী কাপুর। মুক্তির পর থেকেই নেটদুনিয়ায় ছবি ঘিরে নানা চর্চা। অনেকেই এই ছবিটিকে ইন্সেন্সিটিভ, অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকেই টুইটারে বাওয়াল নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি ‘বাওয়াল’ দেখে টুইট করেছেন পরিচালক হনসল মেহতা। তিনি লেখেন, ‘আমার বাওয়াল দেখে বেশ মিষ্টিই লাগল। মন থেকে সঠিক জায়গায়ই রয়েছে। আপনাকে হাসাবে, কাঁদাবে, বিনোদন যোগাবে। এমনকি কিছু সংলাপ বিশ্ব-যুদ্ধের রূপক হিসেবে ব্যবহারে সঠিক স্থান পায়নি বলে মনে হচ্ছে। খারাপ উদ্দেশ্য মনে হয়নি। ছবিটি দেখতে পারেন’। আরও পড়ুন: প্রতারণার শিকার কৌশিকী চক্রবর্তী, গ্রেফতার শিল্পীর কর্মচারী
নায়িকা জাহ্নবী কাপুরের মুখ দিয়ে পরিচালক বলিয়েছেন- ‘সব সম্পর্কের নিজের মতো করে অসউইজের মধ্য দিয়ে যায়, তারপরই সম্পর্কের আসল মানে বুঝতে পারে মানুষ’। উল্লেখ্য, এই ‘অসউইজ’ হচ্ছে একটা কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। যেখানে জিউদের রেখে হিটলারের সৈনিকরা অমানবিক অত্যাচার চালাত।
আসলে ছবি মুক্তির পর থেকে নেটদুনিয়া তোলপাড়। টুইটার ব্যবহারকারীদের একাংশের মনে হয়েছে, এখানে সম্পর্ক ভাঙার সঙ্গে অনর্থক অসওইজে জিউদের সঙ্গে হওয়া বর্বর এবং অমানসিক অত্যাচারের তুলনা করা হয়েছে। নাৎজি জার্মানির সব থেকে বড় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ছিল এটি জিউদের। সেখানে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল একটা সময়। সেই ভয়ঙ্কর কালো একটা অধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার তুলনাকে মানতেই পারছে না অনেকে।
পান থেকে চুন খসলেই ভয়ংকর যন্ত্রণা দিয়ে মেরে ফেলা হত কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে থাকা জিউদের। ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায় নিয়ে এমন ‘ফিল্মি’ সংলাপ মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। টুইট করে একাংশ নেটিজেন অসওইজের প্রসঙ্গ এমন একটা জায়গায় অনর্থক রাখার জন্য প্রশ্ন তুলেছেন, প্রোডাকশন হাউজ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেল কীভাবে? অনেকেরই প্রশ্ন, ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে দেখাতে আমরা কি সীমা-পরিসীমা ভুলে যাচ্ছি?
২১ জুলাই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে নিতেশ তিওয়ারির ‘বাওয়াল’। ‘দঙ্গল’, ‘ছিছোড়’–নির্মাতার নতুন ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহের শেষ নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্লট থাকার কারণেই ‘বাওয়াল’ নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন দর্শকেরা।