শীতের ছুটিতে মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ রায় পরিচালিত নতুন ছবি হত্যাপুরী। এই ছবির মাধ্যমেই দীর্ঘ ৬ বছর পর বড়পর্দায় ফিরে এল ফেলুদা। সন্দীপ রায়ের এই নতুন ফেলুদায় তিনটি মূল চরিত্রতেই নতুন অভিনেতাদের দেখা গিয়েছে। ফেলুদা হিসেবে ছিলেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, তোপসের ভূমিকায় আয়ুষ দাস এবং জটায়ুর চরিত্রে অভিজিৎ সেন। এই ছবিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন? এই সময় ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কী জানালেন তোপসে আয়ুষ?
আয়ুষ তাঁর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'হত্যাপুরী সাফল্য পেয়েছে, আমার চরিত্রটিকে দর্শকরা ভালোবাসা দিয়েছেন। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। আমি যে সত্যজিৎ রায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এটাই অনেক বড় পাওয়া আমার কাছে। অনেক বড় বড় অভিনেতারা তোপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে অনেকেই বলেছেন যে সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এই প্রথম চরিত্রটি কেউ অন্যভাবে করল। এটাই আমার কাছে যথেষ্ট।'
কিন্তু তোপসে হয়ে ওঠা তো মুখের কথা নয়। সেই চরিত্রটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কী কী করেছেন তিনি? এই বিষয়ে অভিনেতা বলেন, 'আমি বাবু আঙ্কেলকে ফলো করার চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমার আর তোপসের অর্থাৎ চরিত্রের বয়স প্রায় এক, সেহেতু হয়তো চরিত্রের সেই ইনোসেন্সটা দর্শকরা আমার মধ্যে পেয়েছেন। এছাড়া বাবু আঙ্কেল আমাদের বলেছিল ফেলুদার পুরনো ছবি না দেখতে। আমি ওঁর চোখেই তোপসেকে দেখেছি। কোনও বেড়েপাকামি করতে যাইনি।'
ভবিষ্যতে নতুন তোপসেকে নতুন ছবিতে বা কাজে দেখা যাবে? এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি চেঙ্গিস ছবিতে কাজ করেছি। এই ছবিটি ইদে মুক্তি পেতে পারে। জিতদার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। আর এখন আমায় স্টার জলসার বাংলা মিডিয়ামে দেখা যাচ্ছে।'
নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য কীভাবে তৈরি করছেন আয়ুষ? এই প্রসঙ্গে হত্যাপুরীর তোপসে বলেন, 'প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। নাচের প্রতি আমার ঝোঁক আছে। আগে শিখতাম। মাঝে বন্ধ হলেও আবার শুরু করেছি। জিমে যাচ্ছি। এই ১৯-২০ বয়সটাই ঠিক শরীর তৈরি করার জন্য। আর আমার সহকর্মীদের থেকেও আমি নানা টিপস নিচ্ছি। একজন নায়ককে কেবল অভিনয় জানলেই হয় না। তাঁর আরও গুণ থাকা প্রয়োজন।'