নাম আশরাফুল হোসেন, যদিও দুই বাংলা তাঁকে চেনে হিরো আলম নামে। গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই ইউটিউবার। গত রবিবার ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের জন্য এই নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছিল সেদেশের নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গতবার হারের মুখ দেখা হিরো আলম, এইবার জিততে মরিয়া। মনোনয়ন বাতিল নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন বলে মনোস্থির করেছিলেন। আপিল করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছেও। আরও পড়ুন-'সেক্স, পিরিয়ডস নিয়ে মা কোনওদিন কথা বলেনি', এবার যৌনতার পাঠ দেবেন ‘ঠাকুমা’ নীনা
হাইকোর্ট অবধি এই বিতর্কের জল গড়াল না। নির্বাচন কমিশনে করা আবেদনের ভিত্তিতে নিজের প্রার্থী পদ ফিরে পেয়েছেন হিরো আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আউয়াল-সহ অন্য কমিশনারেরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের শুনানিতে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান এদিন হিরো আলমের হয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে দলিল পেশ করেন।
এদিন প্রার্থী পদ ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হিরো আলম। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ইদ-উল-আজহা বা বখরি ঈদ মিটলেই, জোরালোভাবে ভোট প্রচার শুরু করেন। ২৬শে জুন প্রতীক মঞ্জুর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন আলম, তারপর কোমর বেঁধে ভোটপ্রচার। ঢাকা-১৭ কেন্দ্রটি দেশের অন্যতম অভিজাত এলাকা। সেখানকার প্রতি কেন্দ্রে কি পোলিং এজেন্ট দিতে পারবেন হিরো আলম? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‘কেন পারবো না? আগের বারের মতো আর ভুল করবো না। হিরো আলম জিরো থেকে হিরো হয়েছে। এখানে আমার জনপ্রিয়তা না থাকলে ১ শতাংশ ভোটার কেন সই করেছেন?’
ঢাকা-১৭ আসনে নিদর্ল প্রার্থী হিসেবে সমর্থকদের স্বাক্ষরের যে তালিকা হিরো আলম নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছিলেন, তাতে গরমিল আছে এমন অভিযোগ এনে রিটানিং অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান গত রবিবার আলমের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছিলেন হিরো আলম। এর আগে দু-বার ভোটে লড়ে হেরে গিয়েছেন হিরো আলম।
আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন হবে। গত ১৫মে অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)-এর মৃত্য়ুর পর এই আসনটি শূন্য হয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার-- গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে এই আসন গঠিত। এই বার EVM মেশিনে নয়, ব্যালটেই হবে ভোট।