ধর্ম নিয়ে কোনো দিনই বেশি মাতামাতি করতেন না ইরফান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুতপা জানিয়েছেন, ইরফানের এক বার এক ঘটনা সকলকে চমকে দিয়েছিল। শিবের বারে উপোস করবেন বলে, একবার উদ্যত হয়েছিলেন অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল ইরফানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমারের সঙ্গে দু’বছর লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেতা। এক দৈনিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি সুতপা জানিয়েছিলেন, রোজাতে তিনি উপোস করেছিলেন। তখন কীভাবে ইরফান তাকে শিখিয়েছিলেন যে একজনকে মুসলমান হতে, রোজ রাখা বা আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই।
এরপরই সুতপা বলেন, সকল আত্মীয় পরিজনকে চমক দিয়ে ইরফান বলেছিলেন, দু’বছর ধরে চেষ্টা করছেন তবে করে উঠতে পারেননি। তবে এবার থেকে সপ্তাহে একদিন তিনি উপোস করবেন। পরিজনদের চমক দিয়ে অভিনেতা আরো বলেছিলেন, ‘আমি চিন্তাভাবনা করেছি সোমবারে উপোস করব, কারণ সোমবার শিবের বার’। সুতপার কথায়, ইরফান নিজের ধর্ম নিজে তৈরি করতেন এবং তাঁর কাছে ধর্ম মানে আধ্যাত্মিকতা।
ইরফান স্ত্রী সুতপা বলেন, ‘আমার তো মনে হত ও নিজের ধর্ম নিজেই তৈরি করত। যদি কোনো কিছুই না হত, অথবা ওর ক্যানসার না হত, হয়তো ও শোবিজের দুনিয়া ত্যাগ করে, নিজের সন্ধানে কোনো কিছুর চেষ্টা করতো। হয়তো সে নিজের সন্ধান, এই দুনিয়া বা আরো অন্য কিছুর সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন। ও এসবের মধ্যে ছিল এবং এসব নিয়ে চর্চা ও পড়াশোনা করত। কীভাবে ঠিক বোঝাবো? একধরণের দার্শনিক হয় না এই জগতে, ঠিক তেমন! এমন একটা সত্যি যেটাকে তিনি বিশ্বাস করতেন। ধর্ম মানে ওর কাছে আধ্যাত্মিক বিষয় ছিল। একটা সময় ও উপনিষদ, রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ পড়েছে... কিন্তু ও ধার্মিক গোছের মানুষ ছিল না। অশ্ব, মহাবীর ও সব পড়েছে’।
সুতপা বলেন কীভাবে ইরফান কখনোই কোনও লিঙ্গবৈষম্য, ধর্মীয় ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না।