টলিপাড়ায় প্রেম ভাঙা যেমন নতুন কিছু না, তেমন নতুন নতুন প্রেমে পড়াও। নিত্য দিনই খবর আসে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নতুন-নতুন সম্পর্কের। আর সেসব শুনতে বেশ পছন্দও করে আমজনতা। তবে তার মধ্যে কিছু সত্যি থাকলেও, বেশিরভাগই গসিপ। কল্পনাবিলাসীদের মনগড়া বললেও ভুল হয় না!
এখন যেমন শোনা যাচ্ছে কৌশিক ও চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের পুত্র উজান গঙ্গোপাধ্যায় প্রেমে পড়েছেন। তাও আবার মুম্বইবাসী এক বাঙালি নায়িকার প্রেমে। পুজোতে নাকি সেই নায়িকা এসেছেন কলকাতাতেও। ইনি আর কেউ নন, সায়নী গুপ্ত। যার অভিনয় নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। কিন্তু বয়সে ছোট উজানের সঙ্গে সায়নীর প্রেমের খবরে আদৌ কি রয়েছে কোনও সত্যতা?
জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন উজান স্বয়ং। সাফ জানিয়েছেন, এসব খবর পুরোপুরি রটনা। তাঁর ফোকাস এখন সম্পূর্ণ নিজের কেরিয়ারে। শুধু তাই নয়, এমন এক খবর যে তাঁকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তা কখনও ভাবেনওনি বলেই জানালেন।
কাজের সূত্রেই আলাপ হয় উজান আর সায়নীর। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চেনা মুখকে খুব জলদি দেখা যাবে বাংলা ছবিতে। এর আগে বলিউডে 'পার্চড', 'জলি এলএলবি ২', 'ফোর মোর শট প্লিজ', 'শেরদিল'-এর মতো সিনেমায় প্রশংসিত হয়েছিল সায়ানীর কাজ। এবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অসুখ বিসুখ’ দিয়ে টলিউডে হাতেখড়ি। এই সিনেমায় আরও কাজ করছেন ইশা সাহা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অঙ্কুশ হাজরা। ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করার কথা ছিল অঞ্জন দত্ত-র। তবে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন তিনি।
অঞ্জনের জায়গায় সেই দায়িত্ব তুলে নেন কৌশিক নিজের কাঁধে। যেই দৃশ্যেগুলিতে অভিনয় করছেন কৌশিক, সেই দৃশ্যে ক্যামেরার নেপথ্যে তাঁর ছেলে ও অভিনেতা উজান। আর সায়নীর সঙ্গে আলাপ বা ঘনিষ্ঠতা যা বলা যাক না কেন, সেটা সম্পূর্ণ এই সিনেমারই সূত্রে।
অসুখ বিসুখের শ্যুটেই আজকাল কলকাতায় দেখা মিলছে সায়নীর। শুধু তাই নয়, মুম্বই থেকে আসা বাঙালি অভিনেত্রীকে আপন করে নিয়েছে ছবির গোটা সেট। উজান আর সায়নীও শুধুই বন্ধু। সোশ্যাল মিডিয়াতে একে-অপরের পোস্টে কমেন্টও করেন। তবে তাতে নেই প্রেম-সংক্রান্ত কোনও কিছু।
কৌশিক-পুত্র উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মপ্রকাশ হয় পাভেল পরিচালিত ছবি ‘রসগোল্লা’ দিয়ে। এই ছবিতে নবীন চন্দ্র দাসের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথম কাজ দিয়েই নজর কেড়েছিলেন সিনেপ্রেমীদের। তারপর কাজ করেন ‘লক্ষ্মীছেলে’ ছবিতে। পড়াশোনাতেও উজান দুর্দান্ত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'অল রাউন্ড পারফর্মম্যান্স'-এর জন্য 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার' সম্মান পেয়েছিলেন। স্নাতোকত্তর করেন অক্সফোর্ড থেকে। বিষয় ছিল বিশ্বসাহিত্য। সেখান থেকেও পাশ করেন ডিসটিংশন নিয়ে।